চাল চুরির পর ভোট চুরিতেও ওস্তাদ, দাবি রুদ্রনীলের। নিজস্ব চিত্র।
২০১৯-এর পর ২০২৪, পর পর দু’বার বাংলা বিজয়ের স্বপ্ন দেখেছিল বিজেপি। কিন্তু মঙ্গলবার গণনা খানিক এগোতেই বোঝা যায়, সেই স্বপ্ন সম্ভবত এ বারও অধরাই। ১০ দফা গণনার পর দেখা যায় ৪২ আসনের ২৯টিতেই এগিয়ে রয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। বিজেপির দখলে ১২টি আসন। যা আগের বারের তুলনায় অনেকটাই কম।
কিন্তু কেন তৃণাসন সরিয়ে বাংলা এ বারেও পদ্মাসনা হতে পারল না? জানতে আনন্দবাজার অনলাইন যোগাযোগ করেছিল বিজেপি নেতা রুদ্রনীল ঘোষের সঙ্গে। অভিনেতা-রাজনীতিবিদ সপাটে বলেছেন, “হাজার টাকা ভাতা দিয়ে রাজ্যবাসীকে কিনে ফেলা যায়, সেটা প্রমাণিত। রাজ্যে ক্রমশ বেকারত্ব বাড়ছে। অথচ, লক্ষ্মীর ভান্ডার, স্বাস্থ্য সাথী, সবুজ সাথী, কন্যাশ্রী প্রকল্পের ছড়াছড়ি। কুমিরছানার মতো সে সব দেখিয়ে ভাতার ৯৯ হাজার টাকা নিজের পকেটে ভরছে শাসক।”
শুধু তো বাংলা নয়, বিজেপি বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে খোদ উত্তরপ্রদেশেও। এমন প্রশ্ন উঠতেই থমকালেন রুদ্র। খানিক পর বললেন, “হারজিত সব সময়ই রয়েছে। উত্তরপ্রদেশে অপ্রত্যাশিত ফল, এটা ঠিক। কিন্তু তারই পাশাপাশি, দক্ষিণ ভারতে বিজেপি ভাল ফল করেছে। ওড়িশা, অরুণাচল প্রদেশেও তাই।”
এ দিকে, বাংলার ফলাফল নাকি আসলে বিজেপির ধর্ম জিগিরেরই বিরোধিতা, উঠে আসছে এমন তত্ত্ব। যদিও রুদ্রনীল সে কথা মানতে নারাজ। তিনি দাবি করেছেন, “রাজ্যের সব কিছু চুরি করতে করতে শেষে ভোটও চুরি করছেন মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী। চাল, শিক্ষা, চাকরি, স্বাস্থ্য পরিষেবা হয়ে এখন ভোটচুরিতেও সিদ্ধহস্ত। সবাই জানে, আগে একজন চোরের জন্ম হয়। তার পর তাকে ধরতে পুলিশের চাকরি হয়।”
মঙ্গলবার বিকেল পর্যন্ত পাওয়া ফলাফলে ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছে, বিজেপি নিরঙ্কুশ সংখ্যা গরিষ্ঠতার কাছে পৌঁছতে না পারলেও, বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোট ‘ম্যাজিক ফিগার’ পার করতে পারছে। ফলে, দেশে তৃতীয় বার মোদী নেতৃত্বাধীন সরকার গঠিত হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। তবু এই দুর্বল জোট সরকার, বিজেপি-র নিরঙ্কুশ না হতে পারা দেশের অর্থনীতিতে, সাধারণ মানুষের উপর প্রভাব ফেলবে বলেই মনে করেন রুদ্রনীল। তাঁর কথায়, “কিছুটা হলেও এর প্রভাব পড়বে। তবে প্রধানমন্ত্রী প্রচুর জলকল্যাণমূলক প্রকল্প তৈরি করেছেন। যাতে সাধারণ মানুষ কোনও সমস্যায় পড়লে এই সমস্ত প্রকল্পের মাধ্যমে তার মোকাবিলা করতে পারেন।”