ডিসেম্বরে রোশনির বিয়ে
শীত মানেই চারিদিকে বিয়ের সানাই। পর্দায় যদিও তাঁর চার বার বিয়ে হয়ে গিয়েছে। দু’বছর চুটিয়ে প্রেমের পর চলতি শীতে বাস্তবে বিয়ের পিঁড়িতে বসতে চলেছেন রাণী রাসমণির ‘জগদম্বা’ ওরফে রোশনি ভট্টাচার্যও। ডিসেম্বরেই বিয়ে। তার আগে সোমবার পর্দার ‘জগদম্বা’র সব ছেলে-বৌমারা মিলে স্টুডিয়োয় আইবুড়ো ভাত খাওয়ালেন তাঁদের মাকে! গত বছরে ঠিক একই ভাবে সবাই পাত পেড়ে খাইয়েছিলেন গৌরব চট্টোপাধ্যায়কেও। সে দিন রোশনি ছিলেন আয়োজকদের দলে!
সে সব ছাপিয়ে আরও বড় খবর প্রকাশ্যে, বিয়ের পর আপাতত পর্দা থেকে বিদায় নেবেন সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের ‘অতি উত্তম’ ছবির অভিনেত্রী। যুক্তি, পর্দায় চার বার বিয়ে হলেও বাস্তবে তো মাত্র এক বার! তাই নতুন ঘর-সংসার সাজাতে, সামলাতে, থিতু হতে একটু সময় লাগবে তাঁর। সেই সময়টুকুই তিনি নিতে চান। তাই খুব শীঘ্রই তাঁর ফাঁক ভরাতে ‘রাণী রাসমণি’ ধারাবাহিকে নতুন ‘জগদম্বা’ আসছে।
কেমন লাগল নিজের আইবুড়ো ভাতের অনুষ্ঠান? ‘‘খুব মজা করে হয়েছে সবটা’’, আনন্দবাজার অনলাইনের কাছে দাবি তাঁর। অনুষ্ঠানের কথা বলতে গিয়ে সামনে আনলেন মজার ঘটনাও। দুপুরের খাবারের অবসর দেওয়া হয়েছে। অথচ খেতে দিচ্ছে না ইউনিটের কেউ! খিদের চোটে ফোনে রোশনি হম্বিতম্বি জুড়ে দিয়েছেন, ‘‘নাড়িভুড়ি হজম হয়ে যাবে এ বার! কখন খেতে দেবে আমায়?’’ তার একটু পরেই দলের সবাই হাত ধরে তাঁকে নিয়ে যান একটি ঘরে। সেখানে টেবিলের উপরে মাটির থালা আর সারি দেওয়া ছোট ছোট মাটির বাটি। মাটির গ্লাসে জল। থালায় চুড়ো করে ধোঁয়া ওঠা গরম ভাত, ঘি, পাঁচ রকম ভাজা। সঙ্গে নানা রকমের তরকারি, মাছ, মাংস, দই। বাঙালির আইবুড়ো ভাতের অনুষ্ঠানে যা যা থাকে।
রোশনির গলা যেন হাল্কা ভারী, ‘‘পর্দায় আমার ছেলের বউ প্রমিতা চক্রবর্তী নিজে হাতে করে খাইয়ে দিয়েছে। বলে না, এয়ো স্ত্রীর হাতে নাকি আইবুড়ো ভাত খেতে হয়! ও আমাদের দলে এক মাত্র বিবাহিতা। তাই খাইয়ে দিচ্ছিল।’’ এ সব যদি রোশনির বিয়ের প্রাক পর্ব হয়, বিয়ের পর্ব কতটা এলাহি? রেখেঢেকে ফাঁস করলেন অভিনেত্রী। জানালেন, বৈদিক মতে বিয়ে হবে। কন্যাদান, সিঁদুরদান থাকবে না। নন্দিনী ভৌমিক চূড়ান্ত ব্যস্ত। ফলে,পুরোহিত হিসেবে তাঁকে পাওয়া যাবে না। বদলে কে বিয়ে দেবেন, এখনও তাই নিয়ে বাড়িতে আলোচনা চলছে। বিয়ের কনে মানে অবশ্যই বেনারসি। কিন্তু আটপৌরে ভঙ্গিতে লাল টুকটুকে শাড়ি নাকি লালপাড় সাদা খোলের বেনারসিতে সাজবেন জগদম্বা? ভাঙতে রাজি নন তিনি। অনুরোধ জানালেন, শাড়ি, গয়নার গল্প না হয় বিয়ের আসর পর্যন্ত অজানা থাক!
বাড়িতে সদস্য বলতে রোশনি আর তাঁর মা-বাবা। পাত্র তূর্য সেন ভাল বন্ধু থেকে ভাল স্বামী হতে চলেছেন। শ্বশুরবাড়িরও কোনও বায়নাক্কা নেই। তবু সব আয়োজন যাতে নিখুঁত হয় সে দিক কড়া নজর অভিনেত্রীর। হাসতে হাসতে বললেন, ‘‘আমি বড্ড খুঁতখুঁতে। তাই সব কিছু নিয়ে মা-বাবার মাথা প্রায় খারাপ করে দিচ্ছি।’’