‘দীপু’ নয়, এ বার ‘গোয়েন্দা’ হয়ে ফিরছেন রোহন ভট্টাচার্য।
আনন্দবাজার অনলাইনকেই বলেছিলেন রোহন ভট্টাচার্য, ‘‘একটু সময় দিন। বড় করে ফিরব। ছোটপর্দা, ওয়েব সিরিজ সব মাধ্যমেই।’’ কথা রেখেছেন ‘অপরাজিতা অপু’র ‘দীপু মাস্টার’! স্টার জলসার রিয়্যালিটি শো ‘ডান্স ডান্স জুনিয়র’-এ তিনি সঞ্চালক ‘ভাসান বাপি’! পাশাপাশি, সম্রাট সমুদ্রগুপ্তর আমলের গোয়েন্দা ‘পুষ্পকেতু’র চরিত্রে খুব শিগগিরিই দেখা যাবে তাঁকে। মঞ্চে বা ওয়েব প্ল্যাটফর্মে!
নতুন গোয়েন্দার স্রষ্টা অনন্যা পাল। ভারতীয় ইতিহাসের প্রতি তাঁর প্রবল আকর্ষণ। আনন্দবাজার অনলাইনকে অনন্যা বলেছেন, ‘‘ঐতিহাসিক উপন্যাস লিখতে খুব ভাল লাগে। ভাবলাম, একটু বৈচিত্র আনি। সেই অনুযায়ীই রাজার আমলের গোয়েন্দাদের কথা পাঠকদের সামলে তুলে ধরলাম। পাঠকেরা কিন্তু খুব খুশি।’’ শুধু দুই মলাটেই রাজ-গোয়েন্দা আটকে থাকবেন না। লেখিকা তাঁকে হয় মঞ্চে, না হয় সিরিজে জীবন্ত করতে চলেছেন খুব শিগগিরিই। সম্প্রতি বইয়ের প্রচ্ছদ প্রকাশিত হয়েছে। যেখানে গোয়েন্দা ‘পুষ্পকেতু’ রূপে দেখা দিয়েছেন রোহন।
এক দিকে ‘ভাসান বাপি’। অন্য দিকে, রাজ-গোয়েন্দা। বিপরীত দুই চরিত্রের ভারসাম্য বজায় রাখবেন কী করে? অভিনেতা-সঞ্চালকের কথায়, ‘‘দুটো একেবারে বিপরীত বলেই রাজি হয়েছি। আপাতত রিয়্যালিটি শো নিয়ে ব্যস্ত। সেই চাপ সামলে ওঠার পরে অনন্যা পালের উপন্যাসটি নিয়ে বসব। খুঁটিয়ে পড়ব। জানব পুষ্পকেতুকে। এ ভাবেই একটু একটু করে রাজ-গোয়েন্দা হয়ে উঠব।’’ তার জন্য ওজন ঝরানোর কথাও ভাবছেন রোহন। গুপ্তযুগকে নিখুঁত ভাবে ধরতে চলনে-বলনেও বদল আনবেন অভিনেতা।
একুশ শতকের দর্শক ‘ব্যোমকেশ বক্সী’, ‘ফেলুদা’, ‘সোনাদা’, ‘শবর’-এর মতো ঝকঝকে গোয়েন্দায় অভ্যস্ত। ‘পুষ্পকেতু’ পাল্লা দিতে পারবে কি? প্রশ্ন ছিল লেখিকার কাছে। অনন্যার দাবি, ‘‘রাজ আমলেও অপরাধ হত ষড়রিপুর কারণে। এখনও তাই। তখনও গোয়েন্দাদের বুদ্ধি খাটাতে হত। এখনও তার বদল ঘটেনি। ফলে, দর্শক পুষ্পকেতুকে মেনে নেবেন।’’ তা ছাড়া, রাজ-গোয়েন্দার বাড়তি গুণ, তিনি রূপে কন্দর্প, চাতুর্যে চাণক্য! লেখিকার রসিকতা, এমন পুরুষের আকর্ষণ অমোঘ। একে এড়াবেন কে? তিনি রোহনের মধ্যে এই দুই গুণই দেখতে পেয়েছেন। তাই রোহনই তাঁর ‘পুষ্পকেতু’।