সহকর্মী: অভিনেতা আবীর চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে। —নিজস্ব চিত্র।
জীবনে অনেক বাঁক এসেছে সিনেমার শিল্প নির্দেশক তপন শেঠের। কিন্তু সিনেমা জগতে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করার ক্ষেত্রে ঋতুপর্ণ ঘোষের সঙ্গে কাজ করাকেই জীবনের ‘টার্নিং পয়েন্ট’ বলে মনে করেন তিনি। বর্তমানে প্রয়াত পরিচালক ঋতুপর্ণ সেই সময়ে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘জীবনস্মৃতি’ নিয়ে তথ্যচিত্র তৈরি করছিলেন। তপন শেঠ তখন টলিপাড়ার বিখ্যাত শিল্প নির্দেশক তন্ময় চক্রবর্তীর সহকারী হিসেবে কাজ করেন। কিন্তু ভীষণই মুখচোরা তিনি। সেই সময়েই একদিন ঋতুপর্ণ প্রশংসা করেছিলেন তপনের।
কী ঘটেছিল সেদিন? তপনের স্মৃতিচারণ, ‘‘একদিন শ্যুটিং শেষে ঋতুদা সবার সামনে তন্ময়দাকে ডেকে বললেন, তন্ময় তপনকে রাখিস। এ ছেলে বাংলা সিনেমাকে অনেক কিছু দেবে। আমার পিঠে হাত দিয়ে ঋতুদার সেই প্রশংসা টলি পাড়ায় আমার পা জমিয়ে দিল।’’
অভিনেতার সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতা কীরকম? উত্তর দেন তপন, ‘‘দেব খুবই প্রাণবন্ত। আবিরদা খুবই মিশুকে। আমি ঋতুপর্ণাদিকে (সেনগুপ্ত) সেটে প্রচণ্ড সিরিয়াস দেখেছি। সায়নী ঘোষ জলি। মুমতাজ সরকার সবার সঙ্গে আনন্দে মেতে থাকেন। জিৎদা ডেডিকেটেড। বুম্বাদা অর্থাৎ প্রসেনজিৎ পরিশ্রমী। শ্রাবন্তী কম কথা বলেন।’’ তপনবাবু অভিনয়ও করেন। সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছে ‘তারানাথ তান্ত্রিক’। ওই ছবিতে তিনি শিল্প নির্দেশক এবং ডাক্তারের চরিত্রাভিনেতাও। মনোজ মিশিগানের ‘আই রিবর্ন’ শর্টফিল্মে তিনি অভিনয় করেছেন। ‘তিন পাত্তি’তে খলনায়কের চরিত্রে। ‘দ্য পার্সেল’ সিনেমায় শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে অভিনয় করছেন।
তপন বলেন, ‘‘বাংলা সিনেমার যুগপুরুষ হীরালাল সেনের বায়োপিক করেও আনন্দ পেয়েছি। কলকাতা ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে দেখানো হয়। বিশ্বরূপ বিশ্বাসের ‘বিলের ডায়েরি’তে ছাত্র জীবনকে ধরা হয়েছে। ভাল লেগেছে ব্রাত্য বসুর ‘বারান্দা’।’’ অনলাইন প্লাটফর্ম ‘হইচই’ সঙ্গে কাজ করেছেন ‘চরিত্রহীন’, ‘বউ কেন সাইকো’, ‘ব্যোমকেশ ও অগ্নিবাণ’, ‘আস্তে লেডিজ’ এর মতো সিরিজগুলোতে। তপন বললেন, ‘‘এই মুহূর্তে চারটি ছবির কাজ চলছে। দিন রাতের হিসেব থাকছে না।’’