শ্রীলা মজুমদারকে নিজের দিদি বলেই মানতেন অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। শনিবার শ্রীলার প্রয়াণের খবর শুনে ভেঙে পড়েছেন তিনি। সংবাদমাধ্যমে তিনি বলেন, ‘‘চিরকাল আমার পাশে দাঁড়িয়েছেন। সঙ্কটে বরাবর আমার পাশে থেকেছেন।’’
গত তিন বছর ধরে ক্যানসারে ভুগছিলেন শ্রীলা। ১৩ থেকে ২০ জানুয়ারি পর্যন্ত টাটা মেডিক্যাল ক্যানসার সেন্টারে ভর্তিও ছিলেন। শনিবার তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। পুরনো স্মৃতি ঘেঁটে ঋতুপর্ণা বলেন, ‘‘সঙ্কটে দিদি সব সময় বলতেন, তুই এগিয়ে যা। থামবি না। এই কথাগুলো আমায় ভীষণ শক্তি জোগাত। আমি ভাবতে পারছি না যে, দিদি এই কথাগুলো আর আমায় বলবেন না।’’
শেষ বার কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায় পরিচালিত ‘পালান’ সিনেমায় শ্রীলাকে পর্দায় দেখা গিয়েছিল। সেই ছবিতে তাঁর সঙ্গে অভিনয় করেছেন অভিনেত্রী মমতা শঙ্কর। তিনি আনন্দবাজার অনলাইনকে বলেন, ‘‘আমার এত খারাপ লাগছে যে বোঝাতে পারব না। আমরা একসঙ্গে ‘পালান’-এ শুট করলাম। তখন থেকেই অসুস্থ ছিল। কিন্তু ক্যানসারের কথাটা কক্ষনও বলেনি। কোনও দিন নিজের কষ্টের কথা বলল না ও। ভীষণ খারাপ লাগছে।’’
১৯৮০ সালে মৃণাল সেনের ‘পরশুরাম’ ছবির মাধ্যমে অভিনয় জগতে হাতেখড়ি শ্রীলার। তখন শ্রীলা ১৬ বছরের কিশোরী। অন্য ধারার ছবিতে বরাবর শ্রীলাকে দেখা গিয়েছে। শাবানা আজমি, স্মিতা পাতিল, নাসিউরুদ্দিন শাহের মতো অভিনেতাদের সঙ্গে অভিনয় করেছেন তিনি।