ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত।
তিনি আসছেন না। চোখ ঘুরছে বব বিশ্বাসের। মুম্বই থেকে মেক আপ আর্টিস্টকে সময় দেওয়া আছে অন্য ছবির জন্য।
শাশ্বত চট্টোপাধ্যায় বলছেন ‘পার্সেল’ ছবির পরিচালক ইন্দ্রাশিষ আচার্যকে, “একটু পরেই দেখবে যখন নামবে ভীষণ ব্যাস্ততা নিয়ে নামবে, যেন প্রধামন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলছে। বাড়ির ঘড়িটাও দেখ ইচ্ছে করেই স্লো করে রাখা!” হেসে উঠল টিম ‘পার্সেল’।
নামলেন তিনি। ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। আজ অভিনেতা তাপস পালের শ্রাদ্ধানুষ্ঠান।তাঁর পরনে সাদা-কালো সালোয়ার কামিজ।
শুরু হল আড্ডা।
জীবনে কোন পার্সেল মনে রাখার মতো?
“আমার বাড়িতে পার্সেল আসার খুব চল। তবে সব অনলাইন থেকে, আমার মেয়ের দৌলতে।আমার তো মোবাইল নেই।কে কোথায় যোগাযোগ করে পার্সেল পাঠাবে আমায়?” শাশ্বত এড়িয়ে গেলেন সেরা ‘পার্সেল’ প্রাপ্তির ঘটনা। ছবির মতোই রহস্য থাকল তা। অন্য দিকে ছবির সঙ্গীত পরিচালক জয় সরকার মজা করে বললেন,“আমার স্পেশাল পার্সেল লোপার ভয়ে বাড়ি অবধি আসেই না। আর যা আসে তা সব লোপার। অনলাইনে কেনা পার্সেল”।
আরও পড়ুন-অন্তর্বাস পোশাকেরই অংশ: রাধিকা
দেখে নিন আড্ডায় কী কী হল
ঋতুপর্ণা এ বিষয়ে সপ্রতিভ। তাঁর অগুনতি ফ্যান নানা রকম পার্সেল পাঠায়।“তবে এ বার সিঙ্গাপুর অবধি আমার পার্সেল এসছে। গোলাপ আর কেক। খুব চমকে গিয়েছিলাম” বিস্ময় ঋতুপর্ণার গলায় কারণ প্রেরক তাঁর নাম প্রকাশ করেননি। আর সেখানেই রহস্য। জীবনের এই রহস্যই সিনেমায় আনছেন ইন্দ্রাশিষ। নাহ, ব্যাক্তিগত জীবনে পার্সেল নিয়ে সরাসরি কোনও কথা না বলে তিনি বললেন, “ ছবিটা দেখুন ওখানে পার্সেল ঘিরে রহস্য, প্রেম,বন্ধুতার সুত্র ফাঁস হবে”।
বসন্তের পার্সেলে রঙিন নাকি ধূসর? বলবে সময়।
আরও পড়ুন-‘মুখার্জি কমিশনে’ রাত পার্টিতে সাক্ষ্য দিলেন কারা? অন্দরে ঘটল আর কী কী?