Durga Puja 2024

অষ্টমীর অঞ্জলির সঙ্গে ডান্ডিয়া বাড়তি পাওনা, মুম্বই-কলকাতা মিলিয়ে আমার পুজো

কলকাতার পুজোর মতো পুজো কোথাও হয় না। তবে মুম্বইতেও চার দিন শুটিং বন্ধ থাকে। প্রত্যেকে পুজোয় যোগ দেন, ভোগ খান, জানালেন ঋতুপর্ণা।

Advertisement

ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত

কলকাতা শেষ আপডেট: ১১ অক্টোবর ২০২৪ ১৩:২১
Share:

(বাঁ দিকে) মুম্বইয়ের পুজোয় ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। কলকাতায় সৌরভ গঙ্গোপাধ্য়ায়ের সঙ্গে (ডান দিকে) ছবি: সংগৃহীত।

আমার পুজো কলকাতা-মুম্বই মিশিয়ে। প্রতি বছর মুম্বইয়ের ডিএন নগরের মুখ আমি। এ বছরেও উদ্বোধনের দিন ছিলাম। বাড়তি যোগ, এ বছর বান্দ্রা কুল্লা কমপ্লেক্সেরও পুজোর মুখ আমিই। মুম্বই গেলেই দেখতে পাবেন মায়ানগরীর আনাচকানাচে আমার মুখ! দেখে মনটা খুশিতে ভরে গিয়েছে। এই পুজোয় এত দিন মুখ ছিলেন কুমার শানু। আরও ভাল লাগছে, বান্দ্রা কুল্লা কমপ্লেক্সের এই পুজোয় এ বছর মহারাষ্ট্র সরকারও যুক্ত হয়েছে ‘উম্মিদ’ বলে মেয়েদের হাতের কাজের একটি সংগঠনকে নিয়ে। ফলে, এ বারের পুজোয় ব্যস্ততা বেশি।

Advertisement

আগে মুম্বইয়ের গল্প বলি। ডিএন নগরে এ বার সুরকার আদেশ শ্রীবাস্তব স্মরণে বিশেষ অনুষ্ঠান হবে। থাকবেন ওঁর স্ত্রী বিজয়েতা পণ্ডিত, বাপ্পি লাহিড়ীর নাতি গায়ক রেগো বি। আমার মতো পুজোর মুখ জয় সেনগুপ্তও। শান-জোজোর গাওয়া ‘সবার পুজো আমাদের পুজো’ গানটিরও উদ্বোধন হবে এখানে। এ ছাড়া, রানি মুখোপাধ্যায়দের বাড়ির পুজোয় প্রতি বছর আমন্ত্রণ থাকেই। এ বছর, রোহিত শর্মা পুজো শুরু করলেন। সেখানেও আমন্ত্রণ পেয়েছি। তার পরেও বলব, কলকাতার পুজো ভাই, কলকাতার পুজোই। আমার শহর এক নম্বর। মু্ম্বইয়ে পুজোর সংখ্যা বাড়লেও কলকাতার মতো মণ্ডপ, থিম বা প্রতিমা হয় না। তবে এটাও বলব, নভি মুম্বই, অভিজিৎ ভট্টাচার্য, গোরেগাঁও-এর পুজো দেখার মতো। গত বছর গোরেগাঁও-এর পুজোয় ধুনুচি নাচে অংশ নিয়েছিলাম।

এ বার আসি কলকাতায়। আমার শহর, যেখানে আজন্মলালিত। এখানে মুম্বইয়ের পুজো উদ্বোধন বাদে বাকি দিনগুলো আছি। যেমন, অষ্টমীর অঞ্জলি আমার সহকারী শর্মিষ্ঠার বাড়িতে দেব। ওর বাড়িতে ধুমধাম করে পুজো হয়। রাতে এক বার মুম্বই যেতে হবে। নবরাত্রির অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার নিমন্ত্রণ রয়েছে। অর্থাৎ, অঞ্জলির সঙ্গে ডান্ডিয়া বাড়তি পাওনা। আর ভোগ খাওয়া। নিজের শহরের কথা ছেড়ে দিন, মুম্বইয়ে গিয়েও ভোগ খাওয়ার সুযোগ পেলে ছাড়ি না। আজ ওখানে রানির বাড়িতে ভোগ পরিবেশনে থাকার ইচ্ছে আছে। এই প্রসঙ্গে আর একটা কথা বলি, এখন কিন্তু মুম্বইয়েও পুজোর সময় শুটিং প্রায় হয় না বললেই চলে। ওখানে সব ধর্মের মানুষ মন খুলে মেশেন, উদ্‌যাপনে যোগ দেন। দেখতে ভীষণ ভাল লাগে।

Advertisement

রইল বাকি সাজগোজ। এ বছর নিজে বুটিকের শাড়িতেই সাজব। পুজো উদ্বোধনের দিন বেছে নিয়েছিলাম লাল বেনারসি। আমার মতে, পুজোয় লাল রং না হলে যেন উৎসবের মেজাজ আসে না। সপ্তমীর রং ছিল লাল-সাদা। সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গে একটি পুজো উদ্বোধনে ছিলাম। অষ্টমীতেও একই রঙের শাড়িতে সাজব। এ বছর মুম্বই থেকেও সিঁদুরখেলার ডাক পেয়েছি,। তাই ঠিক করে উঠতে পারছি না, কোথায় যাব! তবে একটু মনখারাপ ছেলেমেয়ে দুটোর জন্য। ওরা বিদেশে। শুনছি, ওখানকার পুজোয় যোগ দেবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement