(বাঁ দিকে) উত্তমকুমার, ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। ছবি: সংগৃহীত।
চুয়াল্লিশ বছর পরেও তিনি ভীষণ ভাবে বর্তমান। শিল্পী সংসদ আয়োজিত উত্তমকুমার চলচ্চিত্র উৎসব তা প্রমাণ করে দিয়েছে। ২৪ জুলাই থেকে ৭ অগস্ট— ১৫ দিন ধরে প্রয়াত প্রযোজক-পরিচালক-অভিনেতার নানা স্বাদের ছবি দেখানোর আয়োজন করেছে সংগঠন। আনন্দবাজার অনলাইনকে সভাপতি ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত জানিয়েছেন, এই প্রজন্মের এক খুদে রোজ ছবি দেখতে আসছে! ভাবা যায়? বিস্মিত সংগঠন সভাপতি শিশুটিকে চকোলেট-সহ নানা উপহার দিয়ে সংবর্ধনা জানিয়েছেন। ঋতুপর্ণার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন পরিচালক রেশমি বাগচি, পরিচালক চৈতি ঘোষাল, সংগঠনের সম্পাদক সাধন বাগচি।
কেন চুয়াল্লিশ বছর পরেও উত্তমকুমার এত প্রাসঙ্গিক? প্রশ্নের জবাবে অভিনেত্রী বললেন, “সেই উত্তর আমিও খুঁজছি। আমরা থাকব না। মহানায়ক কালজয়ী। তিনি তাঁর মতো করে থেকে যাবেন।” তাঁর মতে, প্রয়াত খ্যাতনামী অভিনেতার তাকানো, হাঁটাচলা, কথা বলা আর হাসি— এতেই মাত এই প্রজন্মও। বাঙালির রক্তের সঙ্গে যেন মিশে গিয়েছেন তিনি। তাই সুযোগ পেলে উত্তমকুমার অভিনীত ‘পিঞ্জর’, ‘জতুগৃহ’, ‘কাল তুমি আলেয়া’-র মতো ছবিতে অভিনয় করার বড় সাধ তাঁর। এখনও উত্তম-অপর্ণা সেন জুটি মুগ্ধ করে তাঁকে।
প্রতি বছর প্রয়াত অভিনেতাকে স্মরণের পাশাপাশি নানা জায়গা থেকে আসা অনুদান থেকে দুঃস্থ শিল্পী, কলাকুশলীদের সাহায্য করে শিল্পী সংসদ। উত্তমকুমার এক সময় গোপনে এই কাজ করতেন। আর উত্তমকুমারের ছবি সংরক্ষণ? সে বিষয়টিও কি ভাবছে সংগঠন? নায়িকার দাবি, বিষয়টি যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়ে ভাবছেন তাঁরা।