ঋতাভরীর সঙ্গে ইনি কে?
পরির সেটে প্রথম আলাপ তাঁদের। তখন রজত ছিলেন ‘রজত স্যর’ আর এখন তিনি রজত! সময়ের খেলায় হাল এমন যে রজতকে চুমু খেতে চান ঋতাভরী চক্রবর্তী...
কখনও তিনি সিঙ্গল, কখনও কমিটেড, কখনও আবার কমিটেড নন...এ ভাবেই ইচ্ছেমতো জীবনটাকে বেছে নিয়েছেন ঋতাভরী। মন খারাপ হলেই তিনি লিখতে বসেন। আঘাত পেলেই গল্প তৈরি হয় তাঁর মধ্যে, আর সেখান থেকেই বেরিয়ে আসে নানা রকম ভাবনা। এই ভিন্ন ভাবনার ফসল ছিল ‘নেকেড’ শর্ট ফিল্ম। এখন আবার ‘How about kiss?’ কুড়ি-পঁচিশ মিনিটের এই শর্ট ফিল্মের জন্য নিজেই চিত্রনাট্য লিখেছেন।
‘‘রজতের সঙ্গে আলাপ হওয়ার বেশ কিছু দিন পরে ওকে এই শর্ট ফিল্মের স্ক্রিপ্ট পাঠাই। ওর পছন্দ হয়। সেখান থেকেই কাজের শুরু। মা (শতরূপা সান্যাল) ছবিটা পরিচালনা করছে। জুলাইতে শুট হয়েছে।’’ উত্তেজিত ঋতাভরী।
আরও পড়ুন, কলকাতায় বিকিনিতে ঋতাভরী! বঙ্গললনারা কি হঠাৎ সাহসী হয়ে উঠলেন?
এক প্রফেসর আর ছাত্রীর সম্পর্ক নিয়ে এই ছবি। ‘‘পড়াশোনার ওই সময়টায় অনেকেই নিজেকে হারিয়ে ফেলে। একা হয়ে যায়। দিশা পায় না। এমনই এক মেয়ের জীবনে তার প্রফেসর আলো, ভরসা আর প্রেম নিয়ে আসে...’’, ছবির ভাবনাটা বুঝিয়ে দিচ্ছিলেন ঋতাভরী।
ছবির দৃশ্যে ঋতাভরী এবং রজত।
কিন্তু তাঁর জীবনে এ রকম কোনও ঘটনা কি ছিল? ‘‘না, ও ভাবে ডিরেক্ট কিছু ছিল না। তবে এই ছবিতে পরি যখন প্রফেসরকে আঁকড়ে ধরে বাঁচতে চায়। প্রফেসর কি ছাত্রীর সঙ্গে তাঁর প্রেম মেনে নেন?...ভালবাসার এই দ্বন্দ্বের মধ্যে যে যন্ত্রণা আছে সেটা আমি অনুভব করতে পারি’’, বললেন ঋতাভরী। যদিও রজত এই ছবি প্রসঙ্গে প্রকাশ্যেই বলেছেন, ছাত্রবেলায় বায়োলজি আর ইংরেজি শিক্ষিকা তাঁর ক্রাশ ছিল। থিয়েটারের টানে মাঝেমধ্যে কলকাতায় এলেও আপাতত তিনি ঋতাভরীর টানেই হাজির ছিলেন তাঁর প্রিয় শহর কলকাতায়।
‘‘ফ্রেন্ডস্ কমিউনিকেশনের ফিরদৌসাল হাসান এই ছবিটা প্রযোজনা করতে রাজি হয়ে যান আর গৈরিক ক্যামেরা করেছে,’’ বললেন ঋতাভরী।
আরও পড়ুন, কার সঙ্গে প্রেম করছেন ঋতাভরী?
কিন্তু চুমুর বিষয়টা কী?
‘‘আরে ছবিতে সম্পর্কটা এমন একটা নির্ভরতার জায়গায় যায় যে মেয়েটি প্রফেসরকে স্পর্শ করতে চায়, চুমু খেতে চায়...আর প্রফেসর উচিত-অনুচিতের স্পেসে চলে যায়? না চুমু খায়? তার পর কী হয় জানতে গেলে ছবিটা দেখতে হবে,’’ হাসলেন ঋতাভরী।
‘হিংলিশ’ এই গল্পে মেয়েটি ‘পরি’ আর প্রফেসর ‘আনন্দ’। যারা একে অপরকে ছুঁতে চায়!
কিন্তু আসলে তো তারা ঋতাভরী আর রজত...