মুম্বইয়ের আর কে স্টুডিয়ো।
জল্পনা চলছিলই। নিশ্চিত করলেন ঋষি কপূর। বিক্রি হয়ে যাচ্ছে রাজ কপূরের স্বপ্নের আর কে স্টুডিয়ো। কপূর খানদানের সক্কলের সম্মতিক্রমেই বিক্রি হয়ে যাচ্ছে চার দশকের পুরনো এই স্টুডিয়ো। ঋষির বক্তব্য ‘‘আবেগ তো মিশে আছেই। কিন্তু কী করা যাবে? স্টুডিয়োর ব্যয়ভার বহন করা প্রায় হাতি পোষারই সমান হয়ে যাচ্ছিল।’’
বহু সুপার-ডুপার হিট ছবির শুটিং হয়েছে এই স্টুডিয়োতে। তাদের মধ্যে অন্যতম ‘আওয়ারা’ (১৯৫১), ‘শ্রী ৪২০’ (১৯৫৫), ‘মেরা নাম জোকার’ (১৯৭০), ববি (১৯৭৩)।
সংবাদ মাধ্যম মুম্বই মিররকে ঋষি জানিয়েছেন, স্টুডিয়োর সঙ্গে আমাদের ভাইদের বন্ধন অটুট। কিন্তু আমাদের নাতি-নাতনিরা? ওদের মধ্যে কোনও দিন কোনও মতপার্থক্য দেখা দিলে কী হবে স্টুডিয়োর। যে ভাবে রোজ রোজ কারখানাগুলো বন্ধ হয়ে যাচ্ছে, সে ভাবেই শেষ হয়ে যাবে আর কে স্টুডিয়ো। আর কে স্টুডিওর ভবিষ্যৎ নিয়ে ঋষির আরও ভয়‘‘পরিবারের মানুষজনের মধ্যে মতপার্থক্য থাকবেই। তাই বলে কি আর কে স্টুডিয়োর ভবিষ্যৎ ঠিক করে দেবে আদালত? আমার বাবা কি তাঁর বহু কষ্টের ফসল ভবিষ্যতে আদালতের চৌহদ্দির মধ্যে দেখে খুশি হতেন?’’
গত বছরেই আগুন লেগে ভস্মীভূত হয় আর কে স্টুডিয়োতে।
গত বছর রিয়্যালিটি শো ‘সুপার ডান্সার’ এর শুটিংয়ের সময়ে আগুন লাগে আর কে স্টুডিয়োতে। স্টুডিয়োর বেশ কিছু অমূল্য সম্পদ পুড়ে ছাই হয়ে যায়।নষ্ট হয়ে যায় আরকে স্টুডিয়ো।ভস্মীভূত হয় যে অভিনেত্রীরা অভিনয় করেছিলেন তাঁদের পোশাক। নার্গিস, বৈজন্তীমালা থেকে শুরু করে ঐশ্বর্যা রাইদের সেই সব পোশাকের সঙ্গে সঙ্গে তাঁদের গয়নাগাটিও পুড়ে ছাই হয়ে যায়। নষ্ট হয়ে যায় ‘মেরা নাম জোকার’-এর সেই মুখোশ, ‘জিস দেশ মে গঙ্গা বহতি হ্যয়’-এর সেই বন্দুক। ‘আওয়ারা’, ‘সঙ্গম’, ‘ববি’ এই সব ছবিতে ব্যবহৃত সেই বিরাট পিয়ানো প্রায় শেষ হয়ে যায়।
আরও পড়ুন: আলিয়ার এই ছবির ফোটোগ্রাফার কে জানেন?
আরও পড়ুন: রাখির দিন কী করছেন রাখি?
তবে কবে বিক্রি হচ্ছে আর কে স্টুডিয়ো সে বিষয়টা খোলসা করেননি ঋষি কপূর। হতে পারে দু’দিন, দু’মাস। হয়তো বা দু’বছরও লেগে যেতে পারে এই স্টুডিও বিক্রি হতে, জানিয়েছেন ঋষি।
(হলিউড, বলিউড বা টলিউড - টিনসেল টাউনের টাটকা বাংলা খবর পড়তে চোখ রাখুন আমাদের বিনোদনের সব খবর বিভাগে।)