ঋদ্ধি সেন। —ফাইল চিত্র।
সাল ২০১৯। নাসিরুদ্দিন শাহ কলকাতায়। সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়, কৌশিক সেন এবং বিখ্যাত অভিনেতা তিন জনেই এক ফ্রেমে। সেই শ্যুট উপলক্ষে তিনি দু’দিন ছিলেন। তখনই কাছ থেকে প্রবাদপ্রতিম অভিনেতাকে দেখার সৌভাগ্য হয়েছিল ঋদ্ধি সেনের। অভিনেতা সেন বাড়িতে পা দিয়েছিলেন ঋদ্ধির জন্মদিনে। বসেছিলেন তাঁরই ঘরে। দেওয়ালে টাঙানো নিজের পোস্টারের ঠিক নীচে! তার পর?
বাকিটা বললেন ঋদ্ধি স্বয়ং। শনিবার ‘অ-জানাকথা’ লাইভ আড্ডায়। ‘‘আমার তখন হাত-পা ভয়ে, উত্তেজনায় বরফের মতো ঠান্ডা!’’, দাবি ‘নগরকীর্তন’-এর ‘পুঁটি’র। এ দিকে অতিথির আবদার, সেই সময়ের কোনও ভাল বাংলা ছবি তাঁকে দেখাতে হবে। তখন ‘নগরকীর্তন’ চলছিল। কৌশিক-ঋদ্ধি সঙ্গে সঙ্গে পরের দিন নাসিরুদ্দিনের জন্য বিশেষ একটি শো-এর ব্যবস্থা করেন। ছবি দেখে নাসির সাহেব দারুণ খুশি। পরে তাই নিয়ে দীর্ঘ আলোচনাও করেছিলেন ছবির অন্যতম অভিনেতার সঙ্গে। সেই সময় আন্তর্জাতিক মানের সেই অভিনেতা কথায় কথায় বলেছিলেন, ‘‘অনুযোগের বদলে কড়া প্রস্তুতি নাও। অভিযোগ করতে করতে সময় অপচয় করলে নিজেকে গড়বে কখন?’’ প্রবীণ অভিনেতার আরও যুক্তি, অভিনেতার একটাই কাজ। নিজেকে অনবরত ঘষে মেজে চৌকস বানানো। নাসিরুদ্দিন শাহের ছেলেমানুষী কৌতূহল, তাঁর জীবনাদর্শ প্রতি মুহূর্তে অনুপ্রাণিত করে ঋদ্ধিকে।
প্রায় একই রকম অভিজ্ঞতা ২০১৮-য়, কাজলের সঙ্গে ‘হেলিকপ্টার ইলা’ ছবিতে কাজ করতে গিয়ে। ঋদ্ধি ওই ছবিতে কাজলের ছেলে। রসায়ন গাঢ় না হলে অভিনয় করা মুশকিল। এ দিকে, ঋদ্ধি শুনেছেন অভিনেত্রী দারুণ মেজাজি। কাজ করতে গিয়ে কিন্তু ভুল ভেঙেছে তাঁর! ‘ইলা’র পর্দার ‘ছেলে’র দাবি, ‘‘মেজাজি তো নয়ই। উল্টে দারুণ সহযোগিতা করেছেন প্রতি পদে! তাই ওঁর সঙ্গে অভিনয় করাটা খুবই সহজ হয়ে গিয়েছিল।’’ বলিউডের এই অভিনেত্রী সম্পর্কে সবচেয়ে কমবয়সী জাতীয় পুরস্কারজয়ী অভিনেতার অনুভূতি কী? তাঁর কথায়, কাজল যেমন ঠিক তেমনই সবার সামনে নিজেকে তুলে ধরেন। কোনও ভণিতা নেই। সে ভাবে তাঁকে মেনে নিতে পারলে ভাল। যাঁরা মানতে পারবেন না সেটা তাঁদের সমস্যা।