বাঁ দিক থেকে সন্দীপ, সুশান্ত এবং রিয়া।
সুশান্ত কাণ্ডে রবিবার আবারও ডিআরডিও গেস্ট হাউজে টানা আট ঘন্টা জিজ্ঞাসাবাদ করা হল রিয়া চক্রবর্তীকে। সঙ্গে ছিলেন তাঁর ভাই শৌভিক চক্রবর্তীও। রিয়া ছাড়াও আজ সিবিআই ডেকে পাঠায় সুশান্তের ফ্ল্যাটমেট সিদ্ধার্থ পিঠানি, প্রাক্তন ম্যানেজার স্যামুয়েল মিরান্ডাকেও। সিবিআই সূত্রে খবর, আগামী কাল অর্থাৎ সোমবার সুশান্তের দিদি মিতু সিংহকে সমন জারি করবে সিবিআই।
আজ বেলা ১১টা নাগাদ পুলিশি প্রহরায় ডিআরডিও গেস্ট হাউজে পৌঁছন রিয়া। বেলা একটা নাগাদ পৌঁছন সিদ্ধার্থ। আজ সন্ধে সাড়ে সাতটা নাগাদ ডিআরডিও গেস্ট হাউজ ছাড়তে দেখা যায় রিয়াকে। এই নিয়ে রিয়াকে তৃতীয় বার ডেকে পাঠাল সিবিআই। সিবিআই সূত্রের খবর, আজ নাকি জিজ্ঞাসাবাদের সময় মেজাজ হারিয়ে ফেলেন রিয়া। এমনকি মাদক সংক্রান্ত প্রশ্নেও খানিক ঘাবড়ে যান তিনি।
A post shared by Viral Bhayani (@viralbhayani) on
অন্য দিকে, আজই গোয়া থেকে মুম্বই এসে পৌঁছন হোটেল ব্যবসায়ী গৌরব। গৌরবের সঙ্গেই রিয়ার মাদক সংক্রান্ত চ্যাট কিছুদিন আগেই ফাঁস হয়েছিল। গৌরবের সঙ্গে মাদক পাচার এবং সরবরাহ-র কোনও যোগ রয়েছে কিনা, তা খতিয়ে দেখার জন্য আগামী কালই তাঁকে ডেকে পাঠাতে পারে ইডি। কালই তাঁর ডাক পড়তে পারে নার্কোটিকস কন্ট্রোল ব্যুরোর দফতরেও। যদিও আজ সংবাদমাধ্যমকে গৌরব জানান, তিনি সুশান্তকে চেনেন না। রিয়াকে চেনেন। ২০১৭-তে একবার দেখা হয়েছিল তাঁদের।
পাশাপাশি যত দিন যাচ্ছে, সুশান্তের ঘনিষ্ঠ বন্ধু সন্দীপ সিংহের উপর সন্দেহের তির ক্রমশ জোরালো হয়ে উঠছে। এক সংবাদমাধ্যম থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত দু’মাসে বিজেপি মুম্বইয়ের অফিসে কমপক্ষে ৫৩ বার ফোন করেছেন তিনি। কিন্তু কেন? তা নিয়েও উঠেছে প্রশ্ন। সুশান্তের মৃত্যুতে মোদীর বায়োপিক নির্মাতা সন্দীপের বিজেপি যোগ রয়েছে কিনা, গত কালই তা খতিয়ে দেখার আর্জি জানিয়েছিলেন মহারাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অনিল দেশমুখ।তিনি বলেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর জীবন নিয়ে ছবি করেছেন সন্দীপ সিংহ। বিজেপির সঙ্গে তাঁর কী সম্পর্ক, তা খতিয়ে দেখুক সিবিআই। একই সঙ্গে বলিউডের মাদক যোগ নিয়েও তদন্ত হোক। এ ব্যাপারে অনেক অভিযোগ পেয়েছি আমরা। সিবিআইকে বিষয়টি খতিয়ে দেখতে অনুরোধ করব।’’