রিয়া
এত দিন তাঁর দিকেই উড়ে আসছিল সব তির। কিন্তু এ বার রিয়া চক্রবর্তী পাল্টা অভিযোগ করলেন, সুশান্ত সিংহ রাজপুতের দিদি-সহ তাঁর নিকটাত্মীয়েরাই অভিনেতার মানসিক অবসাদের কারণ। তাঁদের জন্যই আত্মহত্যার পথ বেছে নিতে হয়েছিল অভিনেতাকে।
মঙ্গলবার তাঁর আইনজীবীর প্রকাশ করা এক বিবৃতিতে প্রয়াত অভিনেতার বান্ধবী আরও অভিযোগ করেছেন যে, তাঁকে যৌন হেনস্থা করেছিলেন সুশান্তের দিদি। সেই থেকেই সুশান্তের পরিবারের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক খারাপ হয়ে যায়। যে টানাপড়েনে জড়িয়ে পড়েছিলেন সুশান্তও। বিবৃতিতে রিয়ার আইনজীবী জানিয়েছেন, ঘটনার সূত্রপাত ২০১৯-এর এপ্রিল মাসে। রিয়া ও সুশান্ত তখন একসঙ্গে থাকতেন। রিয়ার দাবি, এক দিন রাতে সুশান্তের দিদি নেশাগ্রস্ত অবস্থায় তাঁর সঙ্গে অশালীন আচরণ করেন। তাঁকে যৌন হেনস্থা করেন। হতচকিত হয়ে সুশান্তকে সব জানান রিয়া এবং এই নিয়ে সুশান্তের সঙ্গে তাঁর দিদির প্রবল অশান্তি হয়। ‘‘সেই শুরু,’’ রিয়ার আইনজীবী বলেছেন বিবৃতিতে। ‘‘এই ঘটনার পরে, সেই তখন থেকেই, সুশান্তের পরিবারের সঙ্গে রিয়ার সম্পর্ক খারাপ হয়ে যায়।’’
বিবৃতিতে রিয়ার আইনজীবী আরও জানান, আত্মহত্যার কিছু দিন আগে সুশান্ত বারবার তাঁর পরিবারের সকলের সঙ্গে দেখা করতে চাইছিলেন। বারবার তাঁদের ফোন করে বলছিলেন মুম্বই আসতে। বিবৃতিতে রিয়ার আইনজীবী বলেছেন, ‘‘ফোনে কান্নাকাটি করতেন সুশান্ত। কিন্তু তাঁর পরিবারের কাউকে বিশেষ বিচলিত হতে দেখা যায়নি। শেষ পর্যন্ত সুশান্তের এক দিদি মুম্বই আসতে রাজি হন। তখন সুশান্ত রিয়াকে অনুরোধ করেন, কিছু দিন রিয়ার মা-বাবার সঙ্গে থাকতে। খুবই দুশ্চিন্তা নিয়ে সুশান্তের বাড়ি ছাড়েন আমার মক্কেল। বারবার বলে যান, যে কোনও প্রয়োজনে সুশান্ত যেন রিয়া বা তাঁর ভাইয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করেন।’’ রিয়ার আইনজীবীর দাবি, রিয়া নিজেও অবসাদের রোগী এবং প্যানিক অ্যাটাকে ভোগেন। ‘‘টানাপড়েনের ফলে রিয়াও বারবার অসুস্থ হয়ে পড়ছিলেন,’’ দাবি করেছেন আইনজীবী। রিয়ার অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন সুশান্তদের আইনজীবী।
পটনা পুলিশের কাছে করা সুশান্তের বাবার এফআইআর মুম্বই পুলিশের কাছে পাঠিয়ে দেওয়ার আর্জি জানিয়ে শীর্ষ আদালতে গিয়েছিলেন রিয়া। আজই সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, কাল সকাল এগারোটায় রায় ঘোষণা হবে। এ দিন সুশান্তের আত্মহত্যা নিয়ে মুখ খোলেন অভিনেতা নাসিরুদ্দিন শাহ। তাঁর কথায়, ‘‘সুশান্তের মৃত্যু নিয়ে যে ভাবে রাজনীতি হচ্ছে তা সত্যিই দুঃখের। কে বলিউডের ভিতরের লোক, কে বাইরের, এই আলোচনাগুলোর মানেই হয় না।’’