৬৮ বছরে পা দিলেন রজনী।
তিনি ‘থালাইভা’, অর্থাৎ 'নেতা'। ভারতীয় চলচ্চিত্র জগতের অন্যতম উজ্জ্বল কিংবদন্তী তিনি। তাঁর নামেই চলতে পারে বক্স অফিস। যে কোনও চরিত্রেই অভিনয় করে তিনি ঝড় তুলেছেন আবালবৃদ্ধবনিতাদের হৃদয়ে। তাঁর সিনেমা রিলিজ হলে আজ তাই তা এক উৎসবে পরিনত হয়। সিনেমায় তাঁর বলা সংলাপে হাসি-কান্নার রোল ওঠে, হাততালির ঝড় বয়ে যায়। সেই কিংবদন্তী তামিল সুপারস্টার রজনীকান্তের ৬৮ তম জন্মদিনে আসুন দেখে নেওয়া যাক তাঁর অভিনীত চলচ্চিত্রগুলি থেকে কিছু জমজমাট সংলাপ:
‘১৬ ভায়াথিনিলে’। রজনীর সাথেই ১৯৭৭ সালের এই সিনেমায় অভিনয় করেছিলেন কমল হাসান এবং শ্রীদেবীও। খল চরিত্রে অভিনয় করলেও এই চলচ্চিত্রে তাঁর সংলাপ ‘এপ্পাডি ইরুক্কু’ (‘এটা কেমন?’) সিনে প্রেমীদের মনে ধরেছিল। এটিকে তাঁর জীবনের প্রথম পাঞ্চ লাইন হিসেবেও মনে করা হয়।
১৯৯৫ এর কাল্ট ক্লাসিক ‘বাশা’। এই সিনেমায় গ্যাংস্টারের ভূমিকায় অবিস্মরনীয় অভিনয় করেছিলেন রজনী। এই চলচ্চিত্রে তাঁর সংলাপ, ‘আমার একটা কথা বলে দেওয়ার মানে, সেটা একশো বার বলে দেওয়া’, হাততালির ঝড় তুলেছিল প্রেক্ষাগৃহে।
আরও পড়ুন: গুপীবাঘা নিয়ে ছবি করব: পাভেল
২০১০ সালে তাঁর চলচ্চিত্র ‘রোবট’ মেগা হিট ছিল। এই সিনেমাতে বৈজ্ঞানিক ভাসিগরন ও রোবট চিট্টি, এই দুটি চরিত্রেই অভিনয় করেন তিনি। এই চলচ্চিত্রে একই রকম দেখতে একাধিক রোবটের মধ্যে থেকে চিট্টিকে খুঁজে বের করার সময় ভাসিগরনের চরিত্রে রজনীর অভিনয় মন জয় করেছিল দর্শকদের।
রজনীর বহু ছবিই রেকর্ড তৈরি করেছে বক্স অফিসে। আবার তাঁর ছবিই ভেঙে দিয়েছে সেই রেকর্ড। ২০০৭ সালে তাঁর চলচ্চিত্র ‘শিবাজী দ্যা বস’ ঝড় তুলেছিল বক্স অফিসে। সেই সিনেমায় তাঁর সংলাপ, ‘দল বেঁধে আসে শুয়োরেরা। সিংহ সব সময় একা আসে’ রক্ত গরম করে দিয়েছিল দর্শকদের।
এই চলচ্চিত্রেই তাঁর আরেকটি সংলাপ “কিছু কাঁপলেই আমার নাম মনে পড়ছে তো?” বেশ জনপ্রিয় হয়েছিল।
আরও পড়ুন: ৯৬ কেজি ওজন ঝরিয়ে বলি ডেবিউ, সারাকে প্রথমে চিনতে পারেননি মা অমৃতাও
তাঁর অভিনীত চলচ্চিত্র ‘পাডায়াপ্পা’ তে তাঁর সংলাপ অনুপ্রেরণা যুগিয়েছিল অনেককেই। “যে পথে আমি হাঁটবো তা অবশ্যই অন্যরকম হবে” বা “পরিশ্রম ছাড়া কারুর পক্ষেই কিছু পাওয়া সম্ভব নয়; পেলেও তা ধরে রাকা সম্ভব নয়”, এই সব সংলাপ মন কেড়েছিল ভক্তদের।
এমনকি তাঁর যে সকল চলচ্চিত্র বক্স অফিসে হিট দিতে পারেনি, সেই সকল সিনেমাতেও তাঁর কিছু কিছু সংলাপ ও সংলাপ বলার ধরন আজও মনে আছে দর্শকদের। ২০০২ সালের সিনেমা ‘বাবা’ তে তাঁর সংলাপ “যা অতীত তাকে অতীতই থাকতে দাও” যথেষ্ট সাড়া ফেলেছিল দর্শকদের মনে।
এছাড়াও ১৯৯৫ সালে তাঁর অভিনীত সিনেমা ‘মুথু’ মুক্তি পেয়েছিল জাপানী ভাষাতেও। এই সিনেমার সংলাপ “কেউ বলতে পারবে না আমি কখন আসবো, কিন্তু যখন সময় হবে, আমি ঠিকই আসবো” জনপ্রিয় হয়েছিল।