অস্কারের অনুষ্ঠানে ওই আসন পাওয়ার জন্য নাকি লক্ষাধিক টাকা খরচ করতে হয়েছে রাজামৌলিকে। ফাইল চিত্র।
বিশ্বমঞ্চে সম্মান অর্জন করে তেলুগু ছবির ইতিহাসে নজির গড়েছে এসএস রাজামৌলি পরিচালিত ‘আরআরআর’। সেরা মৌলিক গানের অস্কার জিতেছে ছবির গান ‘নাটু নাটু’। মঞ্চে উঠে অস্কার গ্রহণ করেছেন সঙ্গীত পরিচালক এমএম কীরাবাণী ও গীতিকার চন্দ্র বোস। চূড়ান্ত মনোনয়নের তালিকা থেকে বিজয়ীর নাম ঘোষণা করা মাত্র, নিজেদের আসন ছেড়ে উঠে উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়েছিলেন ছবির পরিচালক রাজামৌলি, অভিনেতা রাম চরণ, এনটিআর জুনিয়র সহ উপস্থিত টিমের সকলেই। সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছিল সেই ভিডিয়ো। কিন্তু অস্কার প্রাপ্তির নেপথ্যে অন্য তথ্যও কানে আসছে। অস্কারের অনুষ্ঠানে ওই আসন পাওয়ার জন্য নাকি গাঁটের কড়ি খরচ করতে হয়েছিল রাজামৌলিকে। সেই অঙ্কও কিছু কম নয়। শোনা যাচ্ছে, মাথাপিছু প্রায় ২১ লক্ষ টাকার বেশি খরচ করে অস্কারের অনুষ্ঠানের ছাড়পত্র পেয়েছিলেন রাজামৌলি ও গোটা ‘আরআরআর’ টিম।
চলতি বছরের অস্কারে মৌলিক গানের বিভাগে মনোনয়ন পেয়েছিল ‘আরআরআর’ ছবির গান ‘নাটু নাটু’। মনোনীত শিল্পীদের মধ্যে ছিলেন ছবির সঙ্গীত পরিচালক এমএম কীরাবাণী ও গীতিকার চন্দ্র বোস। মনোনীত শিল্পী ও তাঁদের পরিবারের জন্যই একমাত্র বিনামূল্যে অনুষ্ঠানের প্রবেশাধিকারের ব্যবস্থা রাখা হয়েছিল অস্কার কর্তৃপক্ষের তরফে। শোনা যাচ্ছে, ‘আরআরআর’ ছবির গোটা টিমের বাকি সদস্যদের জন্য সেই ব্যবস্থা না থাকায় প্রবেশমূল্য দিয়েই অনুষ্ঠানের আসন পেয়েছিলেন তাঁরা। সূত্রের খবর, চলতি বছরে অস্কারের অনুষ্ঠানের টিকিট মূল্য ধার্য করা হয়েছিল ২৫ হাজার মার্কিন ডলার, যা ভারতীয় মুদ্রায় ২০ লক্ষ ৬০ হাজার কিছু বেশি। নিজের পরিবার এবং গোটা টিমের জন্য টিকিট কিনে তবেই অস্কারের অনুষ্ঠানে প্রবেশের ছাড়পত্র পেয়েছিলেন রাজামৌলি। যদিও, এই বিষয়ে রাজামৌলি বা ‘আরআরআর’ টিমের কেউই এখনও পর্যন্ত মুখ খোলেননি। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজামৌলি ও তাঁর গোটা পরিবার, এনটিআর জুনিয়র এবং সস্ত্রীক রাম চরণও।
টিকিট কেটে অস্কারের অনুষ্ঠানে প্রবেশাধিকার পাওয়ার এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই অনুরাগীদের মধ্যে তৈরি হয়েছে অসন্তোষ। শুধু তাই নয়, সমাজমাধ্যমে ভাইরাল হওয়া ভিডিয়োয় দেখা যায়, একেবারের শেষের দিকের আসনে বসে ছিলেন রাজামৌলি, রাম চরণ ও অন্যান্যরা। কেন শেষের দিকের আসন দেওয়া হয়েছিল তাঁদের, তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন ক্ষুব্ধ অনুরাগীদের একাংশ।