সতীশ-মৃত্যুতে স্বামী বিকাশ মালুর বিরুদ্ধে আরও বিস্ফোরক অভিযোগ সানভি মালুর। ফাইল চিত্র।
সতীশ কৌশিকের মৃত্যুতে একের পর এক নাটকীয় মুহূর্ত। বর্ষীয়ান অভিনেতা ও পরিচালকের মৃত্যুর পরে চর্চায় উঠে আসে দিল্লির ব্যবসায়ী বিকাশ মালুর নাম। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন তাঁর স্ত্রী সানভি মালু। সতীশের কাছে ১৫ কোটি ধার করেছিলেন বিকাশ, দাবি সানভির। তাঁর আরও অভিযোগ, সেই ঋণশোধ করা নিয়ে তর্কাতর্কির পরেই নাকি বর্ষীয়ান অভিনেতাকে বিষ দিয়েছিলেন বিকাশ। সেই অভিযোগের পরে এ বার আরও বিস্ফোরক দাবি করলেন সানভি। বিকাশের সঙ্গে নাকি অন্ধকার জগতের মাথা দাউদ ইব্রাহিমের যোগাযোগ ছিল।
এক সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার সময় সানভি বলেন, ‘‘আমাদের বাড়িতে এমন অনেক লোকজনের যাতায়াত ছিল। আমার কাছে ছবিও আছে তাঁদের। এঁদের মধ্যে একজন আনাস। বিকাশ নিজে আমাকে বলেছিল যে, তিনি নাকি দাউদের ছেলে। মুস্তাফা নামক একজনও আমাদের বাড়িতে আসতেন। বিকাশ আমাকে জানিয়েছিল, সে নাকি দাউদের ডান হাত।’’ তা হলে কি সতীশ কৌশিকের মৃত্যুতেও যোগ রয়েছে দাউদ ইব্রাহিমের? সানভির অভিযোগের পর থেকে উঠছে সেই প্রশ্ন।
৮ মার্চ দিল্লিতে হোলির পার্টির পরেই অসুস্থ বোধ করেন সতীশ কৌশিক। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে মৃত্যু হয় বর্ষীয়ান অভিনেতা ও পরিচালকের। দিল্লিতে যে খামারবাড়িতে হোলি পার্টির আয়োজন হয়েছিল, সেটি ‘কুবের’ গ্রুপের শীর্ষকর্তা ও ব্যবসায়ী বিকাশ মালুর। নিজেদের হোলি পার্টিতে সতীশকে আমন্ত্রণ করেছিলেন বিকাশ। তাঁর স্ত্রী সানভির দাবি, সতীশকে বিষ দিয়ে থাকতে পারেন বিকাশ। সেই বিষক্রিয়ার জেরেই নাকি হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে অভিনেতার। দিল্লি পুলিশের কাছে একটি চিঠি লিখে অভিযোগ জানিয়েছিলেন বিকাশের স্ত্রী। চিঠিতে সানভি জানান, বিকাশ মালুকে ১৫ কোটি টাকা ধার দিয়েছিলেন সতীশ। সেই টাকা ফেরত দেওয়া নিয়ে তাঁদের দু’জনের মধ্যে তর্কাতর্কি হয়েছিল। সানভির দাবি, তাঁর স্বামীর খামারবাড়িতে পার্টিতে এসেই হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন সতীশ। তাই সানভির ধারণা, তাঁর স্বামী দেনার হাত থেকে বাঁচতে অভিনেতাকে বিষজাতীয় কিছু দিয়েছিলেন। ইতিমধ্যেই দিল্লির ওই খামারবাড়ি থেকেই বেশ কিছু সন্দেহজনক ওষুধ উদ্ধার করেছে দিল্লি পুলিশ। সানভির অভিযোগের ভিত্তিতে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে তদন্ত।