রশ্মিকাকে নিয়ে তাঁর বাবা-মা কি অসন্তুষ্ট? — ফাইল চিত্র।
দক্ষিণের ছবিতে আগেই তিনি জনপ্রিয় ছিলেন। মাত্র দু’টি ছবি করে বলিউডেও পাকাপাকি স্থান করে নিয়েছেন রশ্মিকা মন্দনা। কাজ করেছেন ‘পুষ্পা’-র মতো ব্লকবাস্টারেও। এমন কন্যাকে নিয়ে নিশ্চয়ই খুবই গর্বিত তাঁর মা-বাবাও?
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে রশ্মিকা আক্ষেপের সঙ্গে জানান, তেমনটা নয়। ইন্ডাস্ট্রিতে পুরোদস্তুর কাজ করে বিখ্যাত হয়ে যাওয়ার পরেও তাঁর বাবা-মা বিরাট কিছু গর্বিত হননি বলেই মনে হয় অভিনেত্রীর। কারণ ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, “আসলে আমার পরিবার ইন্ডাস্ট্রির সঙ্গে কোনও ভাবেই জড়িত ছিল না। বাবা-মা বোঝেন না, তাঁদের মেয়ে ঠিক কী করছে। কিন্তু যখন পুরস্কার পাই, তখন তাঁরা বুঝতে পারেন হয়তো। বুঝতে পারি, আমাকে আরও অনেক বেশি সফল হতে হবে যাতে আমায় নিয়ে বাবা-মা সত্যিই এক দিন গর্ব অনুভব করে।”
অভিনয়জগৎ সম্পর্কে কিছু না বুঝলেও রশ্মিকাকে তাঁরা কোনও কিছুতে বাধা দিয়েছেন এমনও নয়। অভিনেত্রী বলেন, “বাবা-মা আমার কোনও কিছুতে কখনও কোনও আপত্তি করেনি। ছোট থেকে তাঁরা সব দিয়েছেন আমায়। আমি সে জন্য কৃতজ্ঞ। এখন আমার পালা বাবা-মায়ের যত্ন নেওয়ার।”
ছবি: সংগৃহীত।
রশ্মিকা জানিয়েছিলেন, যখন তিনি বড় হয়ে উঠছেন, তাঁর পরিবারের আর্থিক অবস্থা ভাল ছিল না। বাবা-মায়ের লড়াই তিনি বুঝতেন, তাই এমন কিছু চাইতেন না, যা তাঁর বাবা-মা দিতে পারবেন না। রশ্মিকার কথায়, “একটা সময় ছিল মনে আছে, আমাদের দু’ মাস অন্তর বাড়ি বদলাতে হত। ছোট থেকেই সংসারে টানাটানির বিষয়ে আমি সচেতন ছিলাম। বাড়িভাড়া জোগাড় করতেও হিমশিম খেতেন আমার বাবা-মা।”
স্পষ্ট কথা বলার জন্য নানা সময়ে বিতর্কে জড়িয়েছেন রশ্মিকা। তবু তাঁর অনুরাগীর সংখ্যা কম নয়। কানাঘুষো শোনা যায়, বর্তমানে যা পারিশ্রমিক পান তা দিয়ে বিলাসবহুল জীবনযাত্রায় অভ্যস্ত হয়ে পড়েছেন অভিনেত্রী। ‘মিশন মজনু’ ছবিতে সিদ্ধার্থ মলহোত্রর সঙ্গে রশ্মিকাকে শেষ দেখা গিয়েছে। দক্ষিণী তারকা অল্লু অর্জুনের সঙ্গে ‘পুষ্পা ২’- তে এখন কাজ করছেন তিনি।