রণবীর কপূর। ছবি : সংগৃহীত।
কাজ না করে দায়িত্ব এড়িয়ে যাওয়ার অজুহাত হিসেবে মানসিক স্বাস্থ্যের প্রসঙ্গকে ব্যবহার করেন অনেকে। এটা একেবারেই অনুচিত। এমনই মন্তব্য করলেন রণবীর কপূর। সম্প্রতি তিনি বেশ কিছু সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, এক সময় তিনিও মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিলেন। এমনকি, মনোবিদের কাছে যেতে হয়। কিন্তু, তাতেও কোনও লাভ হয়নি।
এ বার তিনি জানালেন, মনোবিদের কাছে গিয়ে কেন তিনি সুস্থ হতে পারেননি। রণবীর বলেন, “আমার বাবা অসুস্থ হয়ে পড়ার আগেই আমি মনোবিদের সাহায্য নিয়েছিলাম। কিন্তু, কোনও লাভ হয়নি।”
রণবীর স্বীকার করেছেন, মূলত দু’টি কারণে মনোবিদের কাছে যাওয়ার পরেও তাঁর মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটেনি। অভিনেতা বলেন, “একটা কারণ হতে পারে, আমি নিজেই খোলা মনে মনোবিদের সঙ্গে কথা বলতে পারিনি, আমার সমস্যাটা বোঝাতেই পারিনি। আর একটা কারণ হতে পারে, চিকিৎসক আমাকে শেখাতে চেয়েছিলেন জীবনকে নিজের মতো করে ব্যবহার করতে।” রণবীরের দাবি, এই নিজের মতো করে জীবন চালনা করে নেওয়ার বিষয়টিতেই নাকি তাঁর আপত্তি রয়েছে। জীবনের সেই সব অনুভূতিকে তিনি এড়িয়ে চলতেই চান না, যেগুলি তাঁকে শান্তি দেয়।
এরই পাশাপাশি তিনি নারী-পুরুষের প্রসঙ্গও তুলে আনেন। তাঁর দাবি, পুরুষের দুর্বলতা নিয়ে বেশি কথা বলতে গেলেই নাকি তাঁকে ‘নারীবাদ বিরোধী’ এবং ‘পুরুষতন্ত্রের ধারক’ হিসেবে ব্যাখ্যা করা হবে। এর পরই তিনি বলেন, “মানসিক স্বাস্থ্যের বিষয় নিয়ে খুব শান্ত ভাবে ধৈর্য ধরে কাজ করা প্রয়োজন। অনেকেই মানসিক অসুস্থতা, অবসাদকে ব্যবহার করেন দায়িত্ব এড়িয়ে যাওয়ার কৌশল হিসেবে।”
রণবীর এই মুহূর্তে ব্যস্ত নীতেশ তিওয়ারির ‘রামায়ণ’-এর কাজে। এর পর তাঁকে দেখা যাবে, সন্দীপ রেড্ডি বঙ্গার ‘অ্যানিম্যাল’ ছবির সিক্যুয়েল ‘অ্যানিম্যাল পার্ক’ এবং সঞ্জয় লীলা ভন্সালীর ‘লভ অ্যান্ড ওয়ার’-এ।