রণবীর কপূর। ছবি: সংগৃহীত।
বলিপাড়ার শান্তশিষ্ট বলেই নামডাক রয়েছে রণবীর কপূরের। পর্দায় তিনি যতই ‘অ্যানিম্যাল’ হোন, বাস্তবে রণবীর অত্যন্ত ঠান্ডা মাথার মানুষ। জীবনের যে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে ভাবনাচিন্তা করেন। রণবীর রগচটা এই অপবাদ বোধহয় তাঁর নিন্দকেরাও দেবেন না। বিক্ষিপ্ত কিছু ঘটনায় রণবীর মেজাজ হারিয়েছিলেন ঠিকই, কিন্তু সেটাও কালেভদ্রে। অথচ এমন শান্ত, ধীরস্থির রণবীরই নাকি ছোটবেলায় স্কুলের অধ্যক্ষের কাছে বেদম মার খেয়েছিলেন। রণবীর জানা, সেই ‘ব্যথা’ নাকি এখনও আছে।
বড় হওয়ার পর রণবীর ধীরে ধীরে শান্ত হয়েছেন। কিন্তু ছোটবেলায় তিনি ছিলেন অত্যন্ত দুরন্ত এবং দুষ্টু। নিজেই সে কথা স্বীকার করেছেন রণবীর। তার জন্য মার, বকা, শাসন— কোনও শাস্তি পেতেই আর বাকি নেই। কিন্তু সবচেয়ে যে ঘটনাটির স্মৃতি এখনও টাটকা সেটা বলতে গেলেই নাকি শিউরে ওঠেন অভিনেতা। একই সঙ্গে সেই ঘটনা মনে পড়লে মজাও পান।
রণবীর জানিয়েছেন, ছোটবেলায় প্রায়ই পরীক্ষায় নকল করতেন তিনি। এবং নকল করাকে এক প্রকার নাকি শিল্পের পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছিলেন রণবীর। এত নিপুণ ভাবে পুরোটা করতেন যে, কেউ পরীক্ষা চলাকালীন ধরতে পারতেন না। কিন্তু গোটা ক্লাসকে নকল করার বুদ্ধি ধার দিতেই বাঁধে বিপত্তি। ক্লাসের সব ছাত্র যে তাঁর বুদ্ধিতে পরীক্ষায় নকল করেছে, সেটা প্রকাশ্যে আসতেই ডাক পড়ে স্কুলের অধ্যক্ষের কাছে। অধ্যক্ষের ঘরে রণবীর পা দিতেই নাকি শুরু হয় বেদম প্রহার। তবে রণবীরের স্বীকারোক্তি, তার পর থেকে আর কখনও তিনি পরীক্ষায় নকল করার সাহস পাননি।