অভিনেত্রী প্রত্যুষা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রেমিক রাহুল রাজ সিংহের আগাম জামিনের আর্জি খারিজ করল মুম্বইয়ের একটি আদালত। আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগে ইতিমধ্যেই এফআইআর হয়েছে রাহুলের নামে। রাহুল তথ্য গোপন করছেন বলে অভিযোগ তুলে গতকাল মামলা ছেড়েছেন তাঁর আইনজীবী নীরজ গুপ্ত। এর পর রাহুলের আগাম জামিনের আর্জি আদালতে পেশ করেন তাঁর নতুন আইনজীবী অশোক সারোগি। আজ শুনানিতে প্রত্যুষার পরিবারের তরফে আইনজীবী ফাল্গুনী ব্রহ্মভট্ট বলেন, ‘‘পুরো ঘটনাটাই পূর্ব-পরিকল্পিত হতে পারে। খুন বলেও সন্দেহ হচ্ছে আমাদের। ঘটনার তদন্ত দরকার।’’ গত ১ এপ্রিল গোরেগাঁওয়ের ফ্ল্যাটে প্রত্যুষার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। রাহুলই প্রথম প্রত্যুষাকে ওই অবস্থায় দেখে হাসপাতালে নিয়ে যান। আজ ফাল্গুনী প্রশ্ন তোলেন, কাছাকাছি কোনও হাসপাতালে না গিয়ে রাহুল কেন অনেকটাই দূরে অন্ধেরীর হাসপাতালে প্রত্যুষাকে নিয়ে গিয়েছিলেন? পরে হাসপাতাল থেকে কেন চলে গিয়েছিলেন তিনি? সিলিং ফ্যান থেকে ঝুলন্ত প্রত্যুষাকে নামানোর পরে কেন তিনি পুলিশ ডাকেননি বা প্রত্যুষার কোনও ছবি তুলে রাখেননি? সরকারি কৌঁসুলি দত্তা মুদিগান্তিও ঘটনার পরে রাহুলের আচরণ নিয়ে প্রশ্ন তোলেন।
পাল্টা সওয়ালে রাহুলের আইনজীবী বলেন, পুলিশের কাছে দেওয়া প্রথম জবানবন্দিতে রাহুলের বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ আনেননি প্রত্যুষার বাবা-মা। অথচ পরে কেন তাঁরা এফআইআর করলেন? রাহুলের আইনজীবী আরও যুক্তি দেন, মৃত্যুর জন্য তাঁর প্রেমিককে দায়ী করে প্রত্যুষা কোনও সুইসাইড নোট লেখেননি। প্রত্যুষার দেহে আলাদা কোনও আঘাতের চিহ্নও পাওয়া যায়নি। দু’পক্ষের যুক্তি শুনে রাহুলের আগাম জামিনের আর্জি খারিজ করেন বিচারক। আজ আদালতে ছিলেন প্রত্যুষার বাবা-মা ও পারিবারিক বন্ধুরা। রাহুলের জামিনের আবেদন খারিজে সন্তোষ প্রকাশ করেন তাঁরা। আদালতের বাইরে হির পটেল নামে এক মডেল সংবাদমাধ্যমের কাছে দাবি করেন, রাহুল তাঁকেও ঠকিয়েছেন।
বুকে ব্যথা নিয়ে গত ৩ এপ্রিল হাসপাতালে ভর্তি হন রাহুল। অনেকের মতে, ছাড়া পেলেই রাহুলকে গ্রেফতার করা হবে বলে আশঙ্কা করছে তাঁর পরিবার। সেই জন্যই তড়িঘড়ি এই আগাম জামিনের আর্জি।