(বাঁ দিক থেকে) ‘ময়ূরাক্ষী’, ‘রবিবার’ ও ‘বিনিসুতোয়’ ছবির পোস্টার। ছবি: সংগৃহীত।
তিনটি সিনেমা। তাদের মধ্যে যোগসূত্র স্থাপন করেছে নাগরিক জীবন এবং নিঃসঙ্গতা। ‘ময়ূরাক্ষী’, ‘রবিবার’ এবং ‘বিনিসুতোয়’— পরিচালক অতনু ঘোষ তাঁর এই তিনটি ছবিকে ট্রিলজি হিসেবেই উল্লেখ করেছেন। এ বার ছবিগুলির চিত্রনাট্য একত্রে বই আকারে প্রকাশিত হতে চলেছে। নাম ‘নিঃসঙ্গ নাগরিক’।
(বাঁ দিকে) পরিচালক অতনু ঘোষ। ‘নিঃসঙ্গ নাগরিক’ বইয়ের প্রচ্ছদ (ডান দিকে)। ছবি: সংগৃহীত।
এর আগে এফএফএসআই (ফেডারেশন অফ ফিল্ম সোসাইটিজ় অফ ইন্ডিয়া) পরিচালকের ‘ময়ূরাক্ষী’ ছবিটির চিত্রনাট্য প্রকাশ করেছিল। কিন্তু তিনটি ছবির চিত্রনাট্য এই প্রথম এক সঙ্গে প্রকাশিত হচ্ছে। অতনু বললেন, ‘‘তিনটি ছবিই দর্শক দেখেছেন। তা নিয়ে আলোচনাও হয়েছে। চিত্রনাট্য নিয়ে তো এখন অনেকেই আগ্রহী। আমি নিজে ছাত্রছাত্রীদের তরফে অনেক অনুরোধ পেয়েছি। আমাদের ধারণা, ছবির চিত্রনাট্য ছবিগুলো সম্পর্কে পাঠককে আরও আগ্রহী করে তুলবে।’’ তবে এই বইতে চিত্রনাট্যের পাশাপাশি রয়েছে তিনটি সিনেমা নিয়ে বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত সমালোচনা এবং দীর্ঘ লেখা। অতনু বলছিলেন, ‘‘অনেক ছবিরই চিত্রনাট্য প্রকাশিত হয়। আমার মনে হয়, সিনেমা সংক্রান্ত লেখাগুলো আগ্রহী পাঠক চিত্রনাট্যের আরও গভীরে প্রবেশ করতে সাহায্য করবে।’’
বাবা-ছেলের সম্পর্কের প্রেক্ষাপটে এক বৃদ্ধের একাকিত্ব ফুটে উঠেছে ‘ময়ূরাক্ষী’তে। অন্য দিকে দু’জন মধ্যবয়স্ক প্রাক্তন আবার ভালবাসায় ফিরতে চাইছে ‘রবিবার’ ছবিতে। ‘বিনিসুতোয়’ ছবিতে দুই অপরিচিত মানুষের পরিচয় গোপন করে সামনে আসার প্রচেষ্টা। চলতি বছরের কলকাতা আন্তর্জাতিক বইমেলায় পাঠকরা ‘নিঃসঙ্গ নাগরিক’ হাতে পেয়েছিলেন। আগামী বৃহস্পতিবার নন্দনে বইটির আনুষ্ঠানিক প্রকাশ উপলক্ষে উপস্থিত থাকবেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়, ঋত্বিক চক্রবর্তী ও জয়া আহসান। থাকছে ‘চিত্রনাট্য ও অভিনেতা’ বিষয়ে আলোচনাচক্র।