মাধবনের মনের কথা
অভিনয়ে দাগ কেটেছেন বরাবর। এ বার ‘রকেট্রি’র হাত ধরে পরিচালনায়। আর মাধবন নিজে বলছেন, এ ভাবে ভাঙাগড়ার মধ্যে দিয়ে যেমন নিরীক্ষা করা যায়, তেমনই প্রাসঙ্গিক থাকাও জরুরি। আর তাঁর এই ভাবনার ক্ষেত্রে অনুপ্রেরণা বিনোদন জগতের দুই মহীরুহ। এক দিকে হলিউড পরিচালক ক্লিন্ট ইস্টউড, এবং অন্য দিকে বলিউডের ‘শাহেনশা’ অমিতাভ বচ্চন।
সম্প্রতি মুম্বই সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে অভিনেতা-পরিচালক বলেন, ‘‘ক্লিন্ট আর অমিতাভকে অনুসরণ করার চেষ্টা করি আমি। আমি তাঁদের ভক্ত।’’ ক্লিন্ট যেমন ৯১ বছর বয়সে এসেও নির্মাণ-বিনির্মাণের মধ্যে দিয়ে নিরন্তর ছবি করে যাচ্ছেন, অস্কার জিতছেন, সে ভাবেই নিরীক্ষার মধ্যে থাকতে চান সদ্য পরিচালনায় আসা মাধবনও। তবে একইসঙ্গে অমিতাভের মতো আদর্শে স্থির থাকতেও চান তিনি।
‘রকেট্রি: দ্য নাম্বি এফেক্ট’-এর পরিচালকের দাবি, এই ছবিতে কোনও প্রস্থেটিক্স এবং গ্রাফিক্সের ব্যবহার হয়নি। যা কিছু দেখানো হয়েছে, সবটাই সত্যি এবং নির্ভেজাল। সময় এতে বেশি লেগেছে ঠিকই, কিন্তু দিনের শেষে স্বতঃস্ফূর্ততা বজায় রাখতে পেরে খুশি তিনি।
অভিনেতা হিসেবেও বরাবরই সচেতন মাধবন। ‘থ্রি ইডিয়টস’-এর তারকা বলেন, ‘‘আমি চাই দর্শক শুধু চরিত্রটি দেখুন, আমাকে নয়। পুরস্কারের লোভে আমি ছবি করি না।’’
নতুন ছবি ‘রকেট্রি’ নিয়ে বলতে গিয়ে অভিনেতা-পরিচালক বলেন, “এই ছবি বাস্তবের ঘটনা অবলম্বনে। তাই সত্যতার কথা মাথায় রেখে তৈরি করা হয়েছে। সব কিছুই ভাল ভাবে গবেষণা করা হয়েছে, যার জন্য সময় লাগে। ছবি শেষ করতে তাই চার বছর লেগেছে।”
ইসরোর বিজ্ঞানী নাম্বি নারায়ণনের জীবনের উপর ভিত্তি করে তৈরি ছবিটি গত ১ জুলাই মুক্তি পেয়েছে। দর্শক থেকে সমালোচক, সকলের মন জিতে নিয়েছে ‘রকেট্রি’। মাধবন অভিনীত পরের ছবি ‘ধোঁকা-রাউন্ড দ্য কর্নার’ও প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাবে আগামী ২৩ সেপ্টেম্বর।