দুর্বল, অসহায়, ভীরু প্রজাতির পুরুষদের প্রতি আকৃষ্ট হতেন পূজা
‘ড্যাডি’ (১৯৮৯) ছবি দিয়ে হাতেখড়ি। ১৭ বছর বয়সে বলিউডে পা রেখেছিলেন পূজা ভট্ট। বয়স ২০-র কোঠায় পড়তে না পড়তেই একের পর এক পুরুষের আনাগোনা তাঁর জীবনে। তাঁদের প্রত্যেককে মন দিয়ে পর্যবেক্ষণ করতেন পূজা। তবে তরুণী অভিনেত্রীর আগ্রহ ছিল অন্য দিকে। পুরনো সেই সত্তার কথা আজ মনে পড়লে অবাক হন পূজা।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে ‘দিল হ্যায় কি মানতা নহি’-র নায়িকা বলেন, ‘‘সে সময়ে আমি কেবল দুর্বল, অসহায়, ভীরু প্রজাতির পুরুষদের প্রতি আকৃষ্ট হতাম। ত্রাতার ভূমিকায় এসে তাঁদের বলতে ইচ্ছে করত, ‘এই যে আমি এসে গিয়েছি। আর কোনও ভয় নেই।’ ধরা যাক, যদি একটা ঘরে ১০০ জন পুরুষ উপস্থিত থাকেন, তাঁদের মধ্যে কর্মঠ, বলিয়ে-কইয়ে ৯৯ জন আমার চোখে পড়বেন না। আমি ঠিক খুঁজে নেব সেই ১ জনকে, যিনি ইঁদুরের মতো টেবিলের তলায় লুকিয়ে রয়েছেন।’’
অভিনেত্রী-পরিচালক পূজা ২০০৩ সালের অগস্ট মাসে মণীশ মাখিজার সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধেন। ‘পাপ’ (২০০৪)-ছবিতে একসঙ্গে কাজও করেছিলেন। তবে ১১ বছরের দাম্পত্য ভাঙে ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে। তার পর থেকে একাই রয়েছেন পূজা। বলছেন, এই বেশ ভাল আছেন। এখনও কি আগের মতো সাহায্যপ্রার্থী মানুষের প্রেমে পড়েন তিনি? মহেশ ভট্টের কন্যা হেসে বলেন, ‘‘পরে বুঝতে পেরেছি অন্য কাউকে নয়, নিজেকে ঠিক করার প্রয়োজন ছিল। আমি আজও মনে করি প্রেমই জীবন। জীবনকে ভালবাসতে গেলে প্রেমে পড়া জরুরি। যদিও আমি একার জীবন জমিয়ে উপভোগ করছি।’’
‘পাপ’ (২০০৪)-এ অভিনয়ে দর্শকের মন জিতে নেওয়ার পর ‘হলিডে’, ‘ধোঁকা’, ‘কাজরারে’ এবং ‘জিসম ২’- এর মতো ছবির হাত ধরে পরিচালনায় আসেন পূজা।