কোভিড-মুক্তির কথা জানিয়েছেন-তারকা মিমি চক্রবর্তী এবং প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়
উদ্বেগ কাটিয়ে ক্রমশ বাড়ছে করোনা-মুক্তির সংখ্যা। আমজনতার পাশাপাশি সুস্থ হয়ে উঠছেন বাংলা বিনোদন দুনিয়ার তারকারাও। শুক্রবার কোভিড-মুক্তির কথা জানিয়েছেন সাংসদ-তারকা মিমি চক্রবর্তী। শনিবার ইনস্টাগ্রামে পোস্ট দিয়েছেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়। দুই তারকাই সুস্থতার খবর জানানোর পাশাপাশি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন তাঁদের অসংখ্য অনুরাগীদের। যাঁরা প্রতি মুহূর্তে নেটমাধ্যমে তাঁদের শারীরিক অবস্থার খোঁজ নিয়েছেন। পাশে থেকে ভরসা জুগিয়েছেন। ঈশ্বরের কাছে তাঁদের সুস্থতার জন্য সারাক্ষণ প্রার্থনা জানিয়েছেন।
সুস্থ হয়েই ফের সাংসদের দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিয়েছেন মিমি। নজর দিয়েছেন শহরবাসীর সুস্বাস্থ্যের দিকে। একটি ভিডিয়ো ঝলকে তাঁর দাবি, সবাই তাঁকে দ্রুত সুস্থতার জন্য কোভিড-কালে নানা পরামর্শ দিয়েছিলেন। সেই সব সৎ পরামর্শের জোরেই তিনি অবশেষে সুস্থ। এ বার তাঁর দায়িত্ব বাকিদের সুস্থ রাখা। সেই জায়গা থেকেই মিমির অনুরোধ, ‘‘সুস্থ থাকা সব সময়েই জরুরি। তাই অতি জরুরি মাস্কে মুখ ঢেকে রাখা। স্যানিটাইজার দিয়ে নির্দিষ্ট সময় অন্তর হাত পরিষ্কার করা। সামাজিক দূরত্ব মেনে চলা।’’ পাশাপাশি তিনি জোর দিয়েছেন পুষ্টিকর, ভিটামিনসমৃদ্ধ খাবারের উপরে। অভিনেত্রীর দাবি, পুষ্টিকর খাওয়াদাওয়া মানেই দেহে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার বৃদ্ধি। রোগ থেকে দূরে থাকা।
অনুরাগীদের পাশাপাশি ঈশ্বর এবং ব্যক্তিগত দুই চিকিৎসককেও ধন্যবাদ জানাতে ভোলেননি বুম্বাদা। তাঁর কথায়, ঈশ্বরের আশীর্বাদ ছাড়া কিছুই হয় না। একই ভাবে রোগশয্যায় সাক্ষাৎ ঈশ্বরের প্রতিনিধি ছিলেন তাঁর দুই চিকিৎসক। তাঁদের পরামর্শেই তিনি পেরিয়ে আসতে পেরেছেন কঠিন পরিস্থিতি। তাঁদের দেখানো পথে চলেই অবশেষে তিনি কোভিড নেগেটিভ। প্রসেনজিতের পাশাপাশি করোনা সংক্রমণ ছড়িয়েছিল তাঁর বোন পল্লবী চট্টোপাধ্যায়ের শরীরেও। খবর, ভাল আছেন তিনিও।