জয়া-প্রসেনজিৎ। ছবি-ইনস্টাগ্রাম।
রবিবার মানেই চুটিয়ে আড্ডা, মাংস-ভাত, আবার কখনও বা লং-ড্রাইভ, তাই না? কিন্তু কারও জীবনে যদি রবিবার ডেকে নিয়ে আসে একাকীত্বের যন্ত্রণা! মনের জটিলতার বিভিন্ন স্তরের না ছোঁয়া গল্পগুলো যদি আচমকাই খোলস ছেড়ে বেরিয়ে পড়ে, তাহলে?
ধরুন, প্রায় পনেরো বছর পর একদিনের জন্য প্রাক্তনের সঙ্গে দেখা হল আপনার। দু'জনেরই তখন মাঝবয়স। ‘রাতের সব তারাই থাকে...’ বলে চলে যাবেন নাকি আবারও তাঁকে জড়িয়ে ধরবেন গাঢ় আলিঙ্গনে? রাগ, অভিমান, অনুযোগ, ভালবাসা এ সব নিয়েই আসছে অতনু ঘোষের পরবর্তী ছবি ‘রবিবার’। আর এই ছবিতেই অনেক না পাওয়া উত্তর পেতে চলেছেন আপনি। শনিবার মুক্তি পেল সেই ছবির ট্রেলার। মুখ্য ভূমিকায় প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় এবং জয়া আহসান।
দেখুন ট্রেলার
প্রথমবার এক সঙ্গে ওঁরা। পরিচালক অতনু কী বললেন? তাঁর কথায়, “জুটিটার মধ্যে একটা ম্যাজিক আছে। আসলে প্রসেনজিৎ-জয়া দু’জনেই নিজেদের পালটে ফেলার একটা মস্ত বড় ক্ষমতা রাখে! আগে যা করিনি এ বার সেটা করব— এই মনটা খুব শক্তিশালী ওদের। দু’জনেই ‘রবিবার’-এর ওই দুটো চরিত্রে নিজেদের পুরে ফেলেছেন। এখন সিনেমার অভিনয়ে অভিনেতার অভিজ্ঞতার চেয়ে মনটা বেশি গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে। এটা কিন্তু খেয়াল করতে হবে। সারা বিশ্বেই তাই। আমি কত দিন ধরে অভিনয় করছি সেই অভিজ্ঞতার চেয়ে আমি ওই চরিত্রে নিজেকে কতটা বসাচ্ছি সেটাই আসল। সেখান থেকে বেরিয়ে চরিত্র হয়ে ওঠার যে কঠিন কাজ সেটা প্রসেনজিৎ-জয়া ‘রবিবার’-এ করে দেখিয়েছে। কাজ করতে করতে অভিনেতাদের হাসি, মজার দৃশ্য, সব এক রকম হয়ে যায়। এই গতানুগতিক অভিনয়ে নিঃসন্দেহে পারফেকশন আছে! কিন্তু সেটা একরকম! এটা তাঁদের অভ্যেস হয়ে গিয়েছে। তাঁরা অসম্ভব আত্মবিশ্বাসী! ভাবছেন, আমি এটা দারুণ পারি। কিন্তু প্রসেনজিৎ-জয়া তা ভাবেন না। ওঁরা ভাবেন আমরা তো পারি না!
আরও পড়ুন-অজয়ের সঙ্গে আলাপ না হলে কি শাহরুখকে বিয়ে করতেন? কাজল বললেন...
উচ্ছ্বসিত জয়া-প্রসেনজিৎও। ‘রবিবার’-এর সঙ্গীত পরিচালনা করেছেন দেবজ্যোতি মিশ্র। পুরো ট্রেলার জুড়েই ব্যাকগ্রাউন্ড স্কোরের এক আশ্চর্য মাদকতা আপনাকে ক্রমশ গ্রাস করবে যেন। আগামী ২৬ ডিসেম্বর, বড় পর্দায় দেখা যাবে জয়া-প্রসেনজিৎ ম্যাজিক, ‘রবিবার’ ধরা দেবে অন্যরূপে।