প্রিয়ঙ্কা ও তাঁর ভাইয়ের সম্পর্কের সমীকরণ নিয়ে মুখ খুললেন মধু চোপড়া। ছবি: সংগৃহীত।
প্রিয়ঙ্কা চোপড়া আর্ন্তজাতিক খ্যাতিসম্পন্ন তারকা। বলিউড ছেড়েছেন বছর দশেক হল। এখন তাঁর কর্মভূমি হলিউড। সেখানে সাফল্যও পেয়েছেন অভিনেত্রী। নিজের পায়ের তলার মাটি শক্ত করতে প্রিয়ঙ্কাকে যেমন কাঠখড় পোড়াতে হয়েছে তেমনই তাঁর সাফল্যে বাবা-মায়ের অবদানও কম নয়। মেয়ের হিতার্থে সব দিকে সাহায্য করেছেন তাঁর বাবা-মা। কিন্তু তার ফলে প্রিয়ঙ্কার সাফল্যের শিখর ছুঁয়েছেন যেমন, তেমন ক্ষতিপূরণ দিতে হয়েছে অভিনেত্রী ভাই সিদ্ধার্থ চোপড়াকে। এ কথা নিজেই স্বীকার করলেন অভিনেত্রীর মা মধু চোপড়া।
বরাবরই প্রচারের আলো থেকে দূরে থাকেন অভিনেত্রীর ভাই। তবু প্রিয়ঙ্কার সাফল্যের আলোয় আলোকিত গোটা চোপড়া পরিবার। প্রিয়ঙ্কার মা সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ‘‘প্রিয়ঙ্কাকে নিয়ে আমরা সকলেই ব্যস্ত ছিলাম। ওর বাবা পুরো সময় মেয়ের জন্য রেখেছিলেন। তার ফলে ছেলেকে গোটা কৈশোরটা একা একা ব়ড় হতে হয়েছে। দিদির সাফল্যের ক্ষতিপূরণ দিতে হয়েছে ওকে।’’ প্রতিটা দিন ছেলেকে কষ্ট পেতে দেখতেন আর ঈশ্বররের কাছে প্রার্থনা করতেন মধু। তবে যার শেষ ভাল তার সব ভাল। দুই ছেলে মেয়ে নিজের জীবনে ভাল কিছু করতে পারায় খুশি প্রিয়ঙ্কার মা। ২০১৪ সালে সেই তৎকালীন প্রেমিকা কণিকা মাথুরের সঙ্গে বাগ্দান হয় সিদ্ধার্থের। কিন্তু বিয়ে হয়নি। বছর ঘুরতে না ঘুরতেই ভেঙে যায় সেই সম্পর্ক। তার পর ২০১৯ সালে প্রিয়ঙ্কার বিয়ের ঠিক পর পরই ফের বাগ্দান সারেন সিদ্ধার্থ। তাঁদের দিল্লির বাড়িতে হয়েছিল রোকার অনুষ্ঠান। সেই বছরই বিয়ে হওয়ার কথা ছিল তাঁদের। কিন্তু মাত্র কয়েক মাসের মধ্যেই ভেঙে যায় সেই সম্পর্কও। তার পর নাকি অভিনেত্রী নীলম উপাধ্যায়ের প্রেমে পড়েন সিদ্ধার্থ। বছর কয়েক প্রেমপর্ব চলে তাঁদের। ২০২৪ এর মার্চ মাসে আংটিবদল সারেন নীলম-সিদ্ধার্থ। খুব শীঘ্রই ছাঁদনাতলায় বসবেন তাঁরা।