(বাঁ দিকে) প্রিয়ঙ্কা চোপড়া। মীরা চোপড়া এবং রক্ষিত কেজরীওয়াল (ডান দিকে)। ছবি: সংগৃহীত।
এই মুহূর্তে চোপড়া পরিবারের চার মেয়েই অভিনয় জগতে নিজেদের মতো করে প্রতিষ্ঠিত। প্রিয়ঙ্কা চোপড়া অবশ্য বাকি তিন জনের তুলনায় অনেকটাই এগিয়ে। তিনি আন্তর্জাতিক তারকা। অন্য দিকে, পরিণীতি চোপড়া, মীরা চোপড়া ও মন্নরা চোপড়াদের কাজ সীমাবদ্ধ এখনও পর্যন্ত হিন্দি ও দক্ষিণী ছবির জগতে। তবে প্রিয়ঙ্কা-পরিণীতি থেকে খ্যাতির দিকে বেশ কিছুটা পিছিয়ে মীরা। এমনকি, বেশ কিছু দিন আগে তুতো দিদি প্রিয়ঙ্কা-পরিণীতিকে নিয়ে বিরূপ মন্তব্যও করেন তিনি। জানিয়েছিলেন সিনেমার পা রাখার পর কোনও রকম সাহায্যই নাকি পাননি তিনি। কিন্তু বিয়ের ক্ষেত্রে বার বড় দিদি প্রিয়ঙ্কার দেখানো পথেই হাঁটলেন মীরা।
২০১৮ সালে রাজস্থানের জোধপুরে গাঁটছড়া বেঁধেছিলেন অভিনেত্রী প্রিয়ঙ্কা চোপড়া। হলিউডের পপ তারকা নিক জোনাসের সঙ্গে উমেদ ভবন প্রাসাদে সাত পাক ঘুরেছিলেন তিনি। শুধু হিন্দু মতেই নয়, খ্রিস্টান মতেও ধবধবে সাদা গাউন পরে নিকের সঙ্গে আংটিবদল করেছিলেন প্রিয়ঙ্কা। তার পর ২০২৩ সালে রাজনীতিক রাঘব চড্ডার সঙ্গে চার হাত এক হয়েছে প্রিয়ঙ্কা তুতো বোন ও বলিউড অভিনেত্রী পরিণীতির। তিনিও বিয়ের জন্য বেছে নেন রাজস্থানের উদয়পুরকে। এ বার মীরাও সেই পথেই হাঁটলেন। জয়পুরের একটি বিলাসবহুল রিসর্টে গাঁটছড়া বাঁধলেন মীরা। পাত্র ব্যবসায়ী রক্ষিত কেজরীওয়াল। বিয়েতে লাল লেহঙ্গায় সেজেছিলেন মীরা, সাদা শেরওয়ানি পরেন রক্ষিত। অনেকেরই অনুমান, পোশকশিল্পী সব্যসাচী মুখোপাধ্যায়ের নকশা করা লেহঙ্গা পরেছেন মীরা। ঠিক যেমনটা প্রিয়ঙ্কা সেজেছিলেন নিজের বিয়েতে।
হাতে গোনা অতিথিদের নিয়ে বিয়ে সারলেন মীরা। বলিউড থেকে উপস্থিত ছিলেন গৌরব চোপড়া, পরিচালক মধুর ভান্ডারকর, প্রযোজক জয়ন্তলাল গাদা-সহ অন্যরা। এ ছাড়াও প্রিয়ঙ্কা মা মধু চোপড়া গিয়েছিলেন নবদম্পতিকে আশীর্বাদ ও শুভেচ্ছা জানাতে।