(বাঁ দিকে) মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (ডান দিকে) নরেন্দ্র মোদী। ছবি: সংগৃহীত।
কবিতা লিখেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তাঁর লেখা এ বার জায়গা করে নিল বলিউডে। তৈরি হল মিউজ়িক ভিডিয়ো। সামনেই নবরাত্রি। সেই উপলক্ষে মোদীর কবিতা মুক্তি পেল গায়িকা ধ্বনি ভানুশালীর কণ্ঠে— ‘গর্ব’। নবরাত্রিতে মায়ের ‘আরাধনা’য় যে সঙ্গীত পরিবেশিত হয়, তাকেই গুজরাতিতে ‘গর্ব’ বলা হয়। প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, দীর্ঘ দিন পর তিনি আবার লেখালিখি শুরু করেছেন। খুব শীঘ্রই সে সব প্রকাশ্যে আনবেন তিনি। মোদীর কবিতায় সুর বসানো গান প্রকাশ্যে আসতেই অনেকে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রসঙ্গ তুলেছেন। তৃণমূলের অনেকের বক্তব্য, ‘দিদি’র পরে এ বার মোদীও!
সামনেই নবরাত্রি, তার আগে মুক্তি পেয়েছে ধ্বনির গান ‘গর্ব’। সেই গানেরই একটি ছোট্ট অংশ নিজের এক্স (পূর্বতন টুইটার) হ্যান্ডলে পোস্ট করে গায়িকা ধ্বনিকে শুভেচ্ছা জানান প্রধানমন্ত্রী। কারণ ধ্বনির ওই মিউজ়িক ভিডিয়োর গীতিকার মোদী। তাঁর লেখায় সুর করছেন তানিশ্ক বাগচী। গায়িকা ধ্বনির প্রশংসা করে মোদী লিখেছেন, ‘‘ধ্বনি ও তানিশ্ক, আপনাদের গোটা টিমকে শুভ কামনা গর্বের এই নতুন ভার্সনের জন্য। আমি বহু বছর আগে যে গান লিখেছিলাম, সেটা আপনারা দারুণ ভাবে আপনারা উপস্থাপন করেছেন। বহু বছর আমি কিছু লিখিনি, কিন্তু গত কয়েক দিনে আমি নতুন একটা গর্ব লিখেছি। নবরাত্রির সময় সকলের সঙ্গে ভাগ করে নেব।’’
স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীর শুভেচ্ছাবার্তা পেয়ে আপ্লুত ‘দিলবর’খ্যাত ধ্বনি। এক্সে তিনি লেখেন, ‘‘শ্রদ্ধেয় নরেন্দ্র মোদী, আপনার লেখা এই গর্ব গানটি তানিশ্ক ও আমার ভীষণ পছন্দ হয়েছে। আমরা একদম নতুন ধরনের তালে গানটা বানাতে চেয়েছিলাম। নতুন ধরনের ফ্লেভার থাকবে যেখানে।’’
মোদীর লেখা প্রসঙ্গে গুজরাতের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রূপাণী জানান, নবরাত্রির সময় ন’দিন ধরে ‘মাতাজি’র আরাধনায় যে সঙ্গীত পরিবেশিত হয়, তাকে গর্বা বলা হয়। তাঁর কথায়, ‘‘ওই ন’দিন ধরে আমরা দেবী মায়ের প্রার্থনা করি। সেই উপলক্ষে ডান্ডিয়া (নাচ)ও হয়। সেই সময় যে গান গাওয়া হয় তাকে গর্বা বলে। প্রধানমন্ত্রী সেই রকমই একটি লেখা লিখেছেন। সেই কবিতা মায়ের আরাধনা সঙ্গীত হিসাবে মুক্তি পেয়েছে।’’
অন্য দিকে, মোদীর এই লেখালিখি প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে বরাহনগরের বিধায়ক তথা বিধানসভায় তৃণমূল পরিষদীয় দলের উপ-মুখ্য সচেতক তাপস রায় তুলে ধরছেন মমতার কথা। তিনি বলেন, ‘‘উনি (মোদী) হয়তো জেনেছেন বা শুনেছেন দিদি কবিতা লেখেন। গান লেখেন। গানে সুর দেন। গান করেন। সে সব দেখে হয়তো মানুষ হিসাবে ওঁরও ইচ্ছে হয়েছে। ইচ্ছা হতেই পারে।’’
প্রসঙ্গত, শনিবার দক্ষিণ কলকাতার একটি পুজোর উদ্বোধন (ভার্চুয়াল) করেন মমতা। ওই পুজোর ‘থিম সং’য়ের গীতিকার ও সুরকার মমতা।