রাজ-শুভশ্রীর বিয়ে নিয়ে সরগরম টলি পাড়া। শুক্রবার সকালে ছিল গায়ে হলুদ। সন্ধেয় সঙ্গীতের পালা মিটিয়ে রাতে বিয়ের অনুষ্ঠান। গায়ে হলুদে কেমন সাজলেন রাজ-শুভশ্রী? কেমন হল সঙ্গীত? নানা মুহূর্তের ছবি ফ্রেমবন্দি হয়ে ধরা দিল গ্যালারির পাতায়।
সকাল থেকেই সাজো সাজো রব ছিল দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার বাওয়ালি রাজবাড়িতে। পৌঁছে গিয়েছিলেন দুই পরিবারের আত্মীয় ও বন্ধুরাও।
সাবেকী সাজ বরাবরই পছন্দ শুভশ্রীর। গায়ে হলুদেও সেজেছিলেন সেই ভাবেই। অফ হোয়াইট লেহেঙ্গার সঙ্গে ফুলের গয়নায় অপূর্ব লাগছিল শুভশ্রীকে।
প্রথমে গায়ে হলুদ হয় রাজের। নায়িকা তখন সাজতে ব্যস্ত ছিলেন। ফটোশুটও চলছিল জোর কদমে। পরে মঞ্চে আসেন শুভশ্রী।
আত্মীয়-বন্ধুদের সমাগমে সমস্ত রীতি মেনেই হল গায়ের হলুদের অনুষ্ঠান। শুভশ্রী বর্ধমানের মেয়ে।সমস্ত উপাচার নিয়ে পুরোহিতও এসেছিলেন বর্ধমান থেকেই।
বিয়েতে লাল বেনারসী, চন্দন আর সোনার গয়নায় সাবেকী সাজই পছন্দ নায়িকার। মেক আপ হবে পরিপাটি। গায়ে হলুদে নায়িকা বেছেছেন পূজা প্রসাদের ডিজাইন করা লেহঙ্গা।
গায়ে হলুদের পর ছিল তত্ত্ব আদান প্রদানের পালা। দুই পরিবার থেকেই তত্ত্ব সাজিয়ে হাজির হয়েছিলেন আত্মীয় পরিজনেরা।
রাজ-শুভশ্রীর বিয়ে বলে কথা। মধ্যাহ্নভোজে ছিল হরেক রকম পদ। থালা সাজিয়ে সাবেকী ধাঁচে অতিথিদের খাবার পরিবেশন করা হয়।
সন্ধে থেকে শুরু হয়ে যায় জমকালো সঙ্গীতের অনুষ্ঠান। উজ্জল পাঞ্জাবী-কুর্তায় সেজেছিলেন রাজ। শুভশ্রীর পরনে ছিল পূজা প্রসাদের ডিজাইন করা সোনালী রঙা লেহেঙ্গা।
আর কিছুক্ষণ পরেই শুরু হবে বিয়ের অনুষ্ঠান। তার আগে সঙ্গীতের তালে তালে পা মেলালেন রাজ-শুভশ্রী। ঝলমলে আলো, সঙ্গীত আর যুগলের নাচের তালে মায়াবী হয়ে উঠল গোটা পরিবেশ।