পরীমণি।
আগের বিয়ে এখনও বর্তমান। বিচ্ছেদের পথে না হেঁটেই নাকি আবার বিয়ে করেছেন পরীমণি!
বুধবার এই নিয়ে ফের তুলকালাম বাংলাদেশ বিনোদন পাড়ায়। সদ্য প্রেম দিবস গিয়েছে। সে দেশের সংবাদমাধ্যমে বাংলাদেশের জনপ্রিয় নায়িকা জানিয়েছেন, কী করে অভিনেতা শরিফুল রাজের প্রেমে পড়লেন তিনি? কেনই বা এত তাড়াহুড়ো করে বিয়ে! নায়িকাকে ঘিরে ফের বিতর্ক। কুমিল্লার আইনজীবী জয়নাল আবেদিন মাজহারি প্রশ্ন তুলেছেন পরীমণির সঙ্গে অভিনেতা শরীফুল রাজের বিয়ের বৈধতা নিয়ে। বিয়ের প্রমাণ চেয়ে পরীমণি-রাজকে আইনি নোটিসও পাঠিয়েছেন তিনি। সঙ্গে সঙ্গে মুখ খোলেন সে দেশের আরও এক জনপ্রিয় তারকা হিরো আলম। পর্দার ‘প্রীতিলতা’কে তাঁর পরামর্শ, ‘‘আপনি বিয়ে করবেন সমস্যা নেই। কিন্তু পথ ক্লিয়ার করে বিয়ে করুন। যাতে কেউ কোনও কথা না বলতে পারে।’’
বিয়ে করেও যেন শান্তি নেই পরীমণির! একদিকে অন্তঃসত্ত্বা অভিনেত্রী রাজের সঙ্গে প্রতি মুহূর্তে জীবন উপভোগ করছেন। অন্যদিকে, বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমে আইনজীবী তাঁর নোটিস প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, আগামী সাত দিনের মধ্যে জবাব না দিলে আইনি পদক্ষেপ করবেন তিনি। নোটিসে আইনজীবী আরও লিখেছেন, ‘আপনি ২০১২ সালের ২৮ এপ্রিল ১ লাখ টাকা দেনমোহরে যশোরের কেশবপুর থানার ফিরদৌস কবীর সৌরভকে প্রথম বিয়ে করেন। গত ২২ জানুয়ারি গণমাধ্যম থেকে জানতে পারি, আপনি সন্তানসম্ভবা। আপনি বলেছেন, ২০২১ সালের ১৭ অক্টোবর শরিফুল রাজের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন। প্রতিষ্ঠিত অভিনেত্রী হওয়ায় আপনার অনেক ফলোয়ার। তাই আপনার এমন কর্মকাণ্ডে সমাজে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে বলে আশঙ্কা করছি। প্রচলিত আইন ও ধর্মীয় আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে আপনি আগামী সাত দিনের মধ্যে সৌরভের সঙ্গে তালাক কবে কোথায় হয়েছে, তা সবার সামনে প্রকাশ করবেন।’
এই বার্তা বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমে ছেয়ে যেতেই পরীমণিকে খোলাখুলি সমর্থন জানান হিরো আলম। ফেসবুক লাইভে প্রশ্ন তোলেন, ১০ বছর আগে যদি পরীমণির বিয়ে হয়ে থাকে তা হলে এতদিন পর কেন আইনজীবী নোটিস পাঠালেন? এর আগে যখন বিয়ে হয়েছিল তখন তিনি কোথায় ছিলেন? এখন নিশ্চয়ই প্রচারের আলো কাড়ার উদ্দেশ্যেই এই কাজ করছেন। নয়তো মোটা অঙ্কের টাকা চাইতে চলেছেন! আইনজীবীকে ধিক্কার জানিয়ে বলেন, এক নারী তাঁর অনাগত সন্তান ধারণ করেছেন। তাঁকে হেনস্থা করার এটাই কি উপযুক্ত সময়!
পাশাপাশি পরীমণির উদ্দেশে তাঁর বক্তব্য, ‘‘জানেন তো আমরা ভাইরাল পার্সন। কিছু করলে বাতাসের আগে ছড়ায়। এতে আমাদের সম্মানের ক্ষতি হয়। তাই বিয়েটা করার আগে পথ ক্লিয়ার করে নিতে পারতেন। তারপর বিয়ে করলে পারতেন।’’