শরিফুল রাজ এবং পরীমণি।
গত অক্টোবর থেকে প্রেমে বুঁদ পরীমণি। প্রথম সাক্ষাৎ। সাত দিনের ভালবাসা। দেরি না করে ঝটপট বিয়ে অভিনেতা শরিফুল রাজকে। তার পরেই অন্তঃসত্ত্বা! একের পর এক ঘটনায় চমকে উঠেছেন বাংলাদেশের অন্যতম জনপ্রিয় নায়িকার অনুরাগীরা। এমন কী আছে রাজের মধ্যে, যা দেখে পঞ্চম বার বিয়ের সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেললেন রুপোলি পর্দার পরী? পর্দার ‘প্রীতিলতা’ টুঁ শব্দ করেননি। অবশেষে মুখ খুললেন প্রেম দিবসে। বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমের তোলা অন্তরঙ্গ ভিডিয়ো সাক্ষাৎকারে। সে দেশের প্রথম সারির সংবাদমাধ্যমের আমন্ত্রণে সেখানে এসেছিলেন রাজ-পরী। কথায় কথায় পরী বলেন, ‘‘বন্ধ লিফটে ফুল হাতে হাঁটু মুড়ে বসে আমিই রাজকে প্রথম প্রেমের কথা বলেছি!’’
রাজের পরী, নাকি পরীর রাজ তা হলে? কেন বিয়েতে এত তাড়াহুড়ো? কী দেখে রাজকেই চাইলেন নায়িকা?
আগল খুলতেই অকপট পরীমণি। জানিয়েছেন, তাঁদের প্রথম দেখা ‘গুনিন’ ছবির চিত্রনাট্য পড়ার সময়ে। সাদা পাঞ্জাবি-পাজামায় সেদিন নায়ক সত্যিই যেন রাজপুত্র। পরী প্রথম দিনেই চোখ ফেরাতে পারেননি। তাঁদের প্রেমের অনুঘটক ছবির পরিচালক গিয়াসুদ্দিন সেলিম। রাজের সঙ্গে এর পর যত কথা বলেছেন, ততই মুগ্ধ তাঁর পর্দার নায়িকা। রাজের ছেলেমানুষী, খুনসুটিতে পাগল তিনি। তখনই ঠিক করে নিয়েছিলেন, বিয়ে করলে এঁকেই করবেন। এ ভাবেই শুরু থেকে ‘গুনিন’ রাজের বশ বিতর্কিত নায়িকা!
সেই সময় রাজের ডান হাত ভেঙে গিয়েছিল। বাঁ হাতে কোনও রকমে খেতেন। এক দিন দেখার পরেই পরী এরপর নিজের হাতে তাঁকে খাইয়ে দিতে শুরু করেন। প্রতিদিন তিন বেলা এভাবেই নিজে রেঁধে, বেড়ে খাওয়াতেন নায়ককে। রাজের কথায়, ‘‘প্রথম দিন থেকেই ও আমার বউ। প্রচণ্ড যত্ন করত আমার।’’ তার পরেও পরীর আফশোস, রাজ তাঁকে কোনও দিন ফিরিয়ে ভালবাসার কথা বলেননি! সেই আক্ষেপও মিটল প্রেম দিবসে। রাজ সেদিনের সন্ধেতেও সাদা পাঞ্জাবি-পাজামায়। পরী পরেছিলেন লাল বেনারসি। তাঁরা পৌঁছে যান স্থানীয় এক নদীর পাড়ে। সেখানেই প্রকৃতিকে সাক্ষী রেখে প্রকাশ্যে ভালবাসার কথা প্রথম জানান অভিনেতা। পুরো ঘটনা ভিডিয়ো করে ছড়িয়ে দিয়েছেন নায়িকা। ভালবাসায় ভাসতে ভাসতে নদীর পাড় ধরে ছুটছেন রাজ। আকাশ-বাতাসে প্রতিধ্বনিত তাঁর একটিই কথা, ‘‘পরী আমি তোমাকে চাই...ভালবাসি।’’