ধর্ষিত হয়েছিলেন অভিনেত্রী-গায়িকা লেডি গাগা! ১৯ বছর বয়সে হয়েছিলেন যৌন নিগ্রহের শিকার। এক সাক্ষাত্কারে এমনই চাঞ্চল্যকর দাবি করেন ‘বর্ন দিস ওয়ের’ গায়িকা লেডি গাগা। ধর্ষণের ঘটনা তাঁকে মানসিক ভাবে কী ভাবে বদলে দিয়েছে তাও জানান তিনি।
লেডি গাগার দাবি, নিগ্রহের পর বহু বছর কারোকে বলতে পারেননি তাঁর উপর কী নারকীয় অত্যাচার হয়েছে। অন্তত বছর সাতেক পর প্রথম মুখ খোলেন তিনি।
এই সাত সাতটি বছর কী ভাবে সহ্য করেন যন্ত্রণা? কে ছিলেন পাশে?
বছর সাতেক লাগে একটু একটু করে শক্তি সঞ্চয় করে প্রথম এ বিষয় মুখ খুলতে। তবে কাকে ধর্ষণের কথা প্রথম বলেন তা অবশ্য বলেননি লেডি গাগা। যন্ত্রণার হাত থেকে মুক্তি পাওয়া একেবারেই সহজ ছিল না বলে জানাচ্ছেন বিশিষ্ট এই গায়িকা। ধর্ষণের ঘটনা তাঁর মনের উপর চুড়ান্ত ছাপ ফেলে। ‘জানতাম না কী ভাবে এই ঘটনা ভুলে থাকতে হয়। আবার এই ঘটনাকে স্বাভাবিক ভাবে মেনেও নিতে পারতাম না। আমি তো এটাও জানতাম না যে এই ঘটনার জন্য নিজেকে দায়ী করা ঠিক নয়।’—বলেন লেডি গাগা।
কিন্তু নিজেকে দায়ী করতেন কেন তিনি?
বছর ঊনত্রিশের গায়িকা বসেন, ধর্ষণ একটা পাপ। সেই পাপের জন্য তিনি নিজেই দায়ী, এমন একটা বদ্ধমূল ধারণা গেঁথে বসে তাঁর মনে। তিনি যেমন অত্যাধুনিক পোশাক পরেন তার জন্যই এই ঘটনা ঘটে। তাই নিজেকে দায়ী করতে শুরু করেন তিনি। কিন্তু শারীরিক এবং মানসিক যন্ত্রণা তাঁকে পুরোটা কাবু করতে পারেনি। যন্ত্রণাকে তিনি নিজের শক্তিতে বদলে ফেলেন।
শুধু নিজেকে বদলে ফেলাই নয়, তাঁর মতো আরও অনেকে যাঁরা নানা সময় শারীরিক এবং মানসিক অত্যাচারের শিকার হয়েছেন তাঁদেরও মুক্তির পথ দেখিয়েছেন লেডি গাগা। তিনি বলেন, ‘অনেক সময় দেখেছি অনেকে নিজের অত্যাচারের কথা নিজের মনের মধ্যেই রেখে দেন। গুমড়ে গুমড়ে মরতে থাকেন।’ তাঁর মতে এটা ঠিক নয়। পচা ফলের মতো কোন যন্ত্রণা নিজের মধ্যে না রেখে ঝেড়ে ফেলে দিয়ে মাথা উঁচু করে বাঁচা উচিত, বলে জানান ব্রিটিশ পপ তারকা।
তবে কোথায়, কথন ধর্ষিত হয়েছিলেন তা অবশ্য খোলসা করে কিছু বলেননি লেডি গাগা।