পূজা ভট্ট। ফাইল চিত্র।
সুশান্ত সিংহ রাজপুতের মৃত্যুর পর থেকেই ভট্ট পরিবারকে স্বজনপোষণ নিয়ে নেটাগরিক থেকে সেলেবদের আক্রমণের মুখোমুখি হতে হয়েছে। সেই সূত্র ধরেই এ বার চুপ করে থাকতে পারলেন না অভিনেত্রী পূজা ভট্ট। মহেশ ভট্টের পরিবারের কাউকেই ট্রোল করতে ছাড়ছে না নেটাগরিকরা। ক্রমাগত ধর্ষণ ও খুনের হুমকিতে ভরে গিয়েছে তাঁর ইনস্টাগ্রাম! বিরক্ত হয়ে ইনস্টাগ্রামের অ্যাকাউন্টের সেটিং বদলে ‘প্রাইভেট’ করে দিলেন পূজা ভট্ট।
এর আগে ধর্ষণ ও খুনের হুমকিতে ক্লান্ত হয়ে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছিলেন আলিয়া ভট্ট ও তাঁর দিদি শাহিন ভট্ট। এ বার সেই একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটল তাঁদের বড় দিদি পূজা ভট্টের সঙ্গে। তবে আইনি পথে হাঁটার কথা বলেননি পূজা।
“আজকাল ইনস্টাগ্রাম-টা এমন একটা জায়গা হয়ে দাঁড়িয়েছে যেখানে স্বচ্ছন্দে যে কেউ ধর্ষণ, খুনের হুমকি দিতে পারে! শুধু তাই নয়, কদর্য আক্রমণ করে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেওয়ার কথাও বলে। আমি সাধারণত এ সব এড়িয়ে যেতাম এত দিন। ভাবতাম, যাঁরা ভালবাসেন তাঁদের সমালোচনা করারও অধিকার রয়েছে। কিন্তু এখন তো দেখছি পরিবার কিংবা আমাদের মৃত্যুকামনা করাটা এঁদের অভ্যাসে পরিণত হয়ে গিয়েছে! তাই আর নয়, এ বার থেকে আমার সঙ্গে যোগাযোগ করতে হলে আগে আমার অনুমতি নিতে হবে। এমনিতেই খুব কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে চলছি আমরা। অতিমারিতে কত মানুষের প্রাণ যাচ্ছে। সে সব দিকে নজর দিন”, ইনস্টায় পোস্ট করেন পূজা।
আরও পড়ুন: সুশান্তের পোস্টমর্টেমের সময় কেন উপস্থিত ছিলেন রিয়া? ফাঁস নতুন তথ্য
আরও পড়ুন: ‘ওই শেষ ফোনটি আমার কাছে ওয়েক আপ কল’, মহেশ-রিয়ার ব্যক্তিগত চ্যাট প্রকাশ্যে
সুশান্তের মৃত্যুর পর থেকেই ইন্ডাস্ট্রির সবচেয়ে চর্চিত বিষয় স্বজনপোষণ নীতি। কর্ণ জোহর থেকে রণবীর কপূর— স্টারকিডদের নিয়ে আক্রমণে কেউ বাদ যাননি। তবে বলিউডের ভট্ট ক্যাম্পের প্রতি নেটাগরিকদের রোষ যেন একটু বেশিই। কারণ, সুশান্তের মৃত্যুর পর থেকেই তাঁর বান্ধবী রিয়ার সঙ্গে মহেশ ভট্টের পুরনো ছবি ঘিরে ফের নতুন বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। প্রকাশ্যে এসেছে সুশান্তের বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসার পরে রিয়া আর মহেশ ভট্টের চ্যাট। সেখানে দেখা যাচ্ছে, সুশান্তের সঙ্গে রিয়া সম্পর্ক ছিন্ন করে চলে আসায় যারপরনাই খুশি হয়েছিলেন মহেশ। নেটাগরিকদের একাংশের বিশ্বাস, বলিউডে সুশান্তের কেরিয়ার নষ্ট করে দিতে উঠেপড়ে লেগেছিলেন মহেশ ভট্ট। আর সেই কারণেই পূজার প্রতি বিরূপ মন্তব্য বর্ষণ হতে থাকে সোশ্যাল মিডিয়ায়।