২৩ অগস্ট মৃত্যু হয় সোনালির, তার পর থেকেই মৃত্যু ঘিরে বাড়তে থাকে ধোঁয়াশা। ফাইল ছবি।
গোয়ায় রহস্যজনক ভাবে মৃত্যু হওয়া বিজেপি নেত্রী সোনালি ফোগতের ফোন ও ল্যাপটপ চুরির অভিযোগে এক জনকে গ্রেফতার করল হরিয়ানা পুলিশ। পেশায় কম্পিউটার অপারেটর শিবমকে মঙ্গলবার গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
সোনালির পরিবারের অভিযোগ শিবম সোনালির ল্যাপটপ, ডিভিআর, মোবাইল ফোন এবং অন্যান্য জিনিসপত্র নিয়ে পালিয়ে গিয়েছেন। সোনালির একটি অফিস ছিল তাঁর খামারবাড়িতে। সেখান থেকেই শিবম যাবতীয় জিনিসপত্র চুরি করে পালান বলে অভিযোগ। তাঁকেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
সূত্রের খবর, সোনালির ব্যক্তিগত সচিব সুধীর সাঙ্গওয়ানের সঙ্গে পরিচিতির সূত্রে শিবম সেখানে চাকরি পান। সোনালির মৃত্যুর এক সপ্তাহ আগে থেকে কাজ শুরু করেন শিবম। পুলিশের একটি সূত্রের দাবি, গোয়া থেকে সোনালির মৃত্যুর খবর পাওয়ার পরই শিবম খামারবাড়ির অফিস থেকে জিনিসপত্র নিয়ে পালান। শিবম অফিসের সিসিটিভিও খুলে নিজের সঙ্গে নিয়ে গিয়েছিলেন বলে অভিযোগ।
সোনালির আত্মীয় বিকাশ এবং সচিন ফোগতের দাবি, সোনালির মৃত্যুর খবর পাওয়ার পরই সুধীর সমস্ত মালপত্র নিয়ে পালানোর নির্দেশ দেন শিবমকে। সেই মতো শিবমও নিজের ফোন বন্ধ করে জিনিসপত্র নিয়ে পালিয়ে যান।
শিবমকে হাতে পাওয়ার পর পুলিশ মনে করছে, সোনালি মৃত্যুরহস্যের জট কাটানো সম্ভব হবে। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। কী কারণে সোনালির ফোন, ল্যাপটপ ও অন্যান্য নথিপত্র নিয়ে তিনি পালিয়ে গিয়েছিলেন, তা জানার চেষ্টা করার পাশাপাশি এই কাজে তাঁকে নির্দেশ কে দিচ্ছিলেন, তা-ও খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
গত ২৩ অগস্ট মৃত্যু হয় সোনালির। তার পর থেকেই তাঁর মৃত্যু ঘিরে বাড়তে থাকে ধোঁয়াশা। মৃত্যুর ঘটনায় জড়িত থাকার সন্দেহে কয়েক জনকে গ্রেফতারও করা হয়। যাঁদের সঙ্গে সোনালি গোয়া গিয়েছিলেন তাঁরাও গ্রেফতার হন। সোনালির মৃত্যুর আগের দিনের সিসিটিভি ফুটেজে তাঁকে অস্বাভাবিক লেগেছিল। অভিযোগ, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে তাঁর পানীয়ের মধ্যে মাদক মিশিয়ে সোনালিকে অসুস্থ করে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু কী ছিল উদ্দেশ্য? তা এখনও স্পষ্ট নয়। শিবমকে গ্রেফতার করার পর পুলিশ মনে করছে, সোনালি মৃত্যুরহস্যের উদ্ঘাটন হবে।