রাজ-সিমরনের রসায়ন যখন আসমুদ্র হিমাচল ভাসিয়ে দিচ্ছে, ঠিক তখনই একজন খুনির চরিত্রে অভিনয় করতে রাজি হন কাজল। ১৯৯৭-এ মুক্তি পেয়েছিল রহস্যধর্মী ছবি ‘গুপ্ত: দ্য হিডেন ট্রুথ’। কাজলের সঙ্গে এই ছবিতে ছিলেন ববি দেওল ও মনীষা কৈরালা। ছবিতে সৎ বাবার খুনের মিথ্যা অভিযোগের লড়াইয়ে সাহিল পাশে পেয়েছিল তার প্রেমিকা ঈশা ও বন্ধু শীতলকে। এই ঈশার চরিত্রে অভিনয় করেন কাজল। ছবির ঘটনাক্রম ও খুনির পরিচয়ে স্তম্ভিত হয়েছিল দর্শক। নায়িকা হিসাবে জনপ্রিয়তার শীর্ষে থেকেও কেন খলনায়িকার চরিত্র করতে রাজি হয়েছিলেন কাজল? সেই কথাই বলেছেন মুম্বই সংবাদ সংস্থার কাছে।
‘‘ছবির গল্প শোনাতে এসে পরিচালক স্নায়বিক চাপে ভুগছিলেন। ওঁর হয়তো মনে হচ্ছিল, আমি এই ধরনের চরিত্রে অভিনয় করতে রাজি না-ও হতে পারি। কিন্তু গল্পের শেষটা শুনে আমার ও তানিশার খুব ভাল লেগেছিল। তাই এই ধরনের সাহসী চরিত্রে অভিনয়ের সুযোগ ছাড়তে চাইনি।’’
ছবিতে মেয়ের অভিনয় ভাল লেগেছিল তনুজার। মায়ের প্রশংসায় খুশিও হয়েছিলেন কাজল। ‘‘আমার খুব কম ছবি মা’র ভাল লেগেছিল। কিন্তু এই ছবিতে আমার অভিনয় দেখে মা বলেছিলেন, কী অসাধারণ অভিনয়! ছবিটা মা’র ভাল না লাগলেও আমার অভিনয় মা’র ভাল লেগেছিল।’’