L2: Empuraan Controversy

মালয়ালম ছবিতে গোধরা প্রসঙ্গ! ‘এমপুরন’-এর প্রদর্শন বন্ধে আদালতে ছুটলেন বিজেপি নেতা

গোধরাকাণ্ডের প্রেক্ষিতে নির্মিত ‘দ্য সাবরমতী রিপোর্ট’-এর প্রশংসা করেছিলেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এ বার সেই একই কাহিনিনির্ভর দক্ষিণী ছবির প্রদর্শন বন্ধ করতে হাই কোর্টের দ্বারস্থ বিজেপি।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০১ এপ্রিল ২০২৫ ১৬:৫৪
Share:

মার্চ মাসের শেষ সপ্তাহে মুক্তি পেয়েছে মোহনলাল অভিনীত ছবি ‘এল ২: এমপুরন’। ছবি: সংগৃহীত।

গত বছর নভেম্বরে মুক্তি পেয়েছিল ‘দ্য সাবরমতী রিপোর্ট’। ধীরজ শর্মা পরিচালিত এই ছবির প্রশংসায় পঞ্চমুখ ছিলেন সারা ভারতের বিজেপি নেতা-কর্মীরা। গোধরাকাণ্ডের প্রেক্ষিতে নির্মিত এ ছবি এবং ছবির নায়ক বিক্রান্ত মাসের প্রশংসা করেছিলেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। কিন্তু এ বার সেই একই কাহিনিনির্ভর দক্ষিণী ছবি ‘এমপুরন’-এর বিরুদ্ধেই প্রতিবাদে শামিল বিজেপি। মালয়ালম ছবিটির প্রদর্শন বন্ধ করতে কেরল হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন দলের ত্রিশূর জেলা কমিটির সদস্য ভি ভি বীজেশ।

Advertisement

এ ছবিতে গোধরাকাণ্ড-পরবর্তী ধর্মীয় গোষ্ঠীসংঘর্ষের ছবি তুলে ধরা হয়েছে। বীজেশের দাবি, এতে নতুন করে অশান্তি তৈরি হতে পারে। তাই এ ছবির প্রদর্শন বন্ধ করা উচিত।

গত ২৭ মার্চ মুক্তি পেয়েছে পৃথ্বীরাজ সুকুমারন পরিচালিত মোহনলাল অভিনীত বড় বাজেটের ছবি ‘লুসিফার ২: এমপুরন’। ২০১৯ সালে মুক্তি পেয়েছিল ‘লুসিফার’। এটি সেই সিরিজ়ের পরবর্তী ছবি। কিন্তু মুক্তির পর থেকেই তৈরি হয়েছে বিতর্ক। মূলত গোধরা-পরবর্তী গোষ্ঠীসংঘর্ষের ছবি উঠে এসেছে এখানে। ইতিমধ্যেই মোহনলাল এ বিষয়ে সমাজমাধ্যমে একটি পোস্ট করেছেন। ছবিতে ২০০২ সালের গুজরাত দাঙ্গার প্রেক্ষাপট উঠে আসা নিয়ে অশান্তি হওয়ায় ক্ষমা চেয়েছিলেন তিনি। দাবি করেন, বিতর্কিত অংশগুলি সরিয়ে ফেলা হবে। জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই নির্মাতারা ছবিটি পুনঃসংস্কারের কাজ শুরু করেছেন।

Advertisement

যদিও মোহনলালের এই বিবৃতিকে শুধুমাত্র দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা বলেই দাবি করেছেন মামলাকারী বীজেশ। তাঁর অভিযোগ, এ ছবিতে এমন কিছু মন্তব্য রয়েছে যাতে প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে। এর ফলে নতুন করে গোষ্ঠীসংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা তৈরি হতে পারে। তিনি বলেছেন, “ছবি মুক্তি পাওয়ার পর নানা বিতর্ক তৈরি হয়েছে, গুজব ছড়াচ্ছে এবং ক্রমাগত এ ছবির প্রদর্শন চলতে থাকলে জাতিদাঙ্গা ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।”

তবে শুধু এটুকুই নয়। বীজেশ সরাসরি আঙুল তুলেছেন পরিচালক সুকুমারনের দিকে। তাঁর দাবি, পৃথ্বীরাজ সুকুমারনের স্বভাবই হল কথায় কথায় এনডিএ সরকারকে আক্রমণ করা, তার মর্যাদাহানি করা। এমনকি ছবির দুই প্রযোজক অ্যান্তনি পেরুম্বাভুর এবং গোকুলম গোপালনের বিরুদ্ধে ইডি যে তদন্ত করছে, তা-ও মনে করিয়ে দিয়েছেন বীজেশ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement