পরিণীতি চোপড়া। ছবি- ফেসবুক
কিছুদিন আগেই অবসাদ নিয়ে মুখ খুলেছিলেন দীপিকা পাড়ুকোন। এবার মানসিক অবসাদ নিয়ে খোলাখুলি কথা বললেন পরিণীতি চোপড়া। সম্প্রতি তাঁর পরবর্তী ছবি ‘জাবারিয়া জোড়ি’-র প্রোমোশনে এসে তিনি বলেন, “গর্তের মধ্যে চাপা পড়ে ছিলাম, জীবনের সবচেয়ে খারাপ সময়ের মধ্য দিয়ে গিয়েছি।”
প্রোমোশনের ‘টেপ কাস্ট’ পর্বে এক ভক্ত তাঁকে এ বিষয়ে প্রশ্ন করলে পরিণীতি বলেন, “সালটা ২০১৫। পর পর দুটো ছবি বক্স অফিসে মুখ থুবড়ে পড়ল। সম্পর্কও ভেঙে যায় সেই সময়।আর আমিও চরম হতাশার সাগরে ডুবে যাই।”
“সারাদিনে দশ বারেরও বেশি কেঁদেছি। ‘জম্বি’র মতো দেখতে হয়ে গিয়েছিলাম। দাওয়াত-এ-ইশক এবং কিল-দিল বক্স অফিসে একটুও দাগ কাটতে পারেনি। টাকাপয়সাও ক্রমশ ফুরিয়ে আসছিল। ইতিবাচক কিছুই আর ঘটছিল না আমার সঙ্গে।অন্ধকারে ডুবে যাচ্ছিলাম ক্রমশ,” বলেন বছর তিরিশের এই অভিনেত্রী।
আরও পড়ুন-‘তিনি না থাকলে রাশিয়ার জেলে ঢুকতে হত!’ নানা ভাবে সুষমাকে স্মরণ বলিউডের
আরও পড়ুন- অবশেষে স্ত্রীর স্বপ্ন পূরণ করতে পেরে খুশি বনি কপূর, টুইট করে জানালেন সে কথা
ওই চরম সময়ে তিনি যে খাওয়াদাওয়া বন্ধ করে দিয়েছিলেন সে কথাও জানান পরিণীতি। এমনকি, পরিবারের সবার সঙ্গেই যেমেলামেশাবন্ধ করে দিয়েছিলেন, তা-ও অকপটে স্বীকার করে নেন ‘হাসি তো ফাসি’–র অভিনেত্রী।
“ বুকে এক অসম্ভব ব্যথা হত। ঘরের মধ্যে একা বসে থাকতাম। শেষ হয়ে যাচ্ছিলাম ক্রমশ।” বলেন তিনি। কীভাবে কাটালেন ওই চরম সময়? ভক্তের প্রশ্নে পরিণীতি জানান, ওই সময় ভাই সহজ তাঁকে অনেকটাই সাহায্য করেছেন। এ ছাড়া তিনি নিজেও নিজেকে বোঝাতে শুরু করেন। তাঁর কথায়: “আমি অনুভব করি যে জীবন এভাবে চলতে পারে না। যদি এখনই না বেরিয়ে আসি যত দিন যাবে অবসাদের অন্ধকারে আরও তলিয়ে যাব আমি।”
শুধু পরিণীতি বা দীপিকাই নন। অবসাদের করাল গ্রাসে পড়েছেন কর্ণ জোহর, কিং খানের মতো সেলেবরাও। সম্প্রতি অবসাদ নিয়েসলমন খানকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘‘ডিপ্রেসড হয়ে নষ্ট করার মতো সময় আমার নেই।’’ ভাইজানের এই বক্তব্যে সমালোচনার ঝড় ওঠে বিভিন্ন মহলে।এই বক্তব্যের পাল্টা দীপিকা বলেন, “অনেকে দুঃখের সঙ্গে অবসাদকে গুলিয়ে ফেলেন। কেউ ইচ্ছা করে অবসাদগ্রস্ত হন না।’’