অনলাইনে খাবার সরবরাহকারী সংস্থার কর্মী ও পরিণীতি চোপড়া
অনলাইনে খাবার সরবরাহ করার সংস্থার কর্মীর বিরুদ্ধে শারীরিক হেনস্থার অভিযোগ। বিতর্কে উত্তাল নেটমাধ্যম। ঘটনার সত্যতা সামনে না আসা পর্যন্ত চাকরি থেকে সাময়িক ভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে কর্মীকে। বলি অভিনেত্রী পরিণীতি চোপড়ার সাম্প্রতিক টুইটে সেই বিতর্কের আগুনেই ঘি পড়ল। মহিলার অভিযোগ আদৌ সত্যি কিনা, ধন্দ প্রকাশ পরিণীতির।
সম্প্রতি বেঙ্গালুরুর এক মহিলা হিতেশা চন্দ্রাণী অনলাইনে খাবার সরবরাহ সংস্থার কর্মী কামারাজের বিরুদ্ধে শারীরিক হেনস্থার অভিযোগ জানিয়েছিলেন। নেটমাধ্যমে পোস্ট করে বলেছিলেন খাবার সরবরাহকারী কর্মী তাঁর গায়ে তুলেছেন। নাক ফাটিয়ে রক্ত বের করে দিয়েছেন। নিজের ছবিও পোস্ট করেছিলেন অভিযোগকারিনী। কিন্তু সমস্ত অভিযোগ ‘মিথ্যে’ বলে দাবি অভিযুক্তর। তিনি জানিয়েছিলেন, ‘‘বেশি কিছু বলব না। সত্যের জয় হবে বলে বিশ্বাস আমার। গত ২৬ মাস ধরে আমি এই সংস্থার হয়ে কাজ করছি। এ রকম কোনও অভিযোগ কখনও ওঠেনি আমার বিরুদ্ধে। পরিবারে একমাত্র রোজগেরে বলতে আমিই। সংস্থা জানিয়েছে, যত দিন পর্যন্ত বিচার না হয়, আমাকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হবে।" কামারাজের বক্তব্য অনুযায়ী, খাবার পৌঁছাতে দেরি হওয়ায় মহিলা টাকা না দেওয়ার দাবি জানিয়েছিলেন। বাকবিতণ্ডার মাঝে হঠাৎই চটি দিয়ে তাঁকে মারতে থাকেন সেই মহিলা। কামরাজ জানিয়েছেন, নিজেকে বাঁচাতে গিয়ে মহিলার হাতে হাত লেগে গিয়েছিল। এবং মহিলা নিজের হাতেই গুঁতো খান। ফলে তাঁর নাক ফেটে যায়।
অনলাইনে খাবার সরবরাহকারী সংস্থার কাছে এই কাণ্ডের সত্যতা জানতে চেয়ে টুইট করলেন অভিনেত্রী পরিণীতি চোপড়া। তাঁর দাবি, আদপে কী হয়েছিল সেটা জানানো হোক। অভিনেত্রীর মতে, যদি মহিলা অপরাধী হন, তবে তাঁকে দাম চোকাতে হবে। পোস্টে তিনি স্পষ্ট জানিয়েছেন, তিনি ওই কর্মীকেই বিশ্বাস করেন। শেষে লিখেছেন, ‘ঘটনাটি অত্যন্ত অমানবিক, লজ্জাজনক, কষ্টকর’।