পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়।
তখন মোবাইলের রমরমা নেই। কথায় কথায় হোয়াটসঅ্যাপে ‘ পিং’ করা নেই। নেই ইচ্ছে মতো যখন তখন ‘স্টক’ করে নেওয়ার উপায় । পছন্দের মানুষের সঙ্গে কথা বলার একমাত্র উপায় ছিল ঘরের এক কোনে সযত্নে রাখা টেলিফোন। আর সেই টেলিফোনকে কাজে লাগিয়েই ছোটবেলার ‘ক্রাশ’-কে ‘ব্ল্যাঙ্ক কল’ করতেন অভিনেত্রী মানালি দে।
মানালির এই ভাল লাগার মানুষ কিন্তু ইন্ডাস্ট্রিরই একজন। তিনি পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়। ‘দাদাগিরি’-র মঞ্চে এসে অভিনেত্রী নিজেই ফাঁস করেছিলেন শৈশবের ভাল লাগার কথা। মানালি জানিয়েছেন, ছোটবেলায় বাড়ির ল্যান্ডলাইন থেকে পরমকে ফোন করতেন তিনি। তখন অভিনেত্রী তৃতীয় বা চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী। শিশুসুলভ সারল্যে অভিনেতাকে জানিয়েছিলেন ভাল লাগার কথা। কিন্তু মানালির সঙ্গে কথা না বলেই সেই সময় ফোন কেটে দিয়ছিলেন ব্যস্ত পরমব্রত।
মানালির সঙ্গে খেলতে এসেছিলেন স্বয়ং পরমব্রত, ঋদ্ধিমা ঘোষ, গৌরব চক্রবর্তী। তাঁর এই গল্প শুনে হেসে উঠেছিলেন মঞ্চে উপস্থিত অতিথি থেকে শুরু করে সঞ্চালক সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। তবে ছোটবেলায় পরমব্রতকে ‘ক্রাশ’ ভাবলেও বড় হওয়ার পর তাঁকে ‘দাদা’ বলেছেন অভিনেত্রী। ‘দাদাগিরি’-র মঞ্চেই সে কথা জানিয়েছিলেন মানালি।