পল্লবী দে।
মাকে ফোন করে শনিবারই ধোকার ডালনার রেসিপি জানতে চেয়েছিলেন পল্লবী। রবিবার সকালে আচমকা ‘আত্মহত্যা’ করার সিদ্ধান্ত নেওয়ার ঠিক এক দিন আগেই। নিজে হাতে রান্না করবেন বলে বাড়িতে ফোন করেছিলেন অভিনেত্রী। মেয়ের মৃ্ত্যুর পর সে কথা জানিয়ে পল্লবীর বাবার অভিযোগ, ‘‘আমার মনে হয় না ও আত্মহত্যা করতে পারে। হয়তো খুনই করা হয়েছে ওকে।’’
মাত্র দেড় মাস আগে মেয়ে হাওড়া ছেড়ে গিয়েছে গড়ফায়। রবিবার সকালে হাওড়ার বাড়িতে পল্লবীর দিদার বাৎসরিকের কাজের অনুষ্ঠানও ছিল। আত্মীয় স্বজন এসেছিলেন বাড়িতে। তবে পল্লবীর আসার কথা ছিল কি না, তা তাঁর বাবা জানাননি। তাঁকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘‘কালই তো মাকে ফোন করে রেসিপি চাইল!’’ তার পরই কিছুটা উদভ্রান্ত ভাবে তাঁকে বলতে শোনা গেল, ‘‘ও খুব বুঝদার মেয়ে ছিল। আত্মহত্যা করার মেয়ে নয়।’’
পল্লবীর পরিবার অবশ্য পুলিশের কাছে এখনই অভিনেত্রী মেয়ের মৃত্যু নিয়ে কোনও অভিযোগ জানায়নি। পল্লবীর ভাই রবিবার দুপুরে জানিয়েছেন, তাঁরা ময়নাতদন্তের রিপোর্টের জন্য অপেক্ষা করছেন। রিপোর্ট এলেই পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে। যদিও পুলিশ ইতিমধ্যেই পল্লবীর মৃত্যুর ঘটনায় অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা দায়ের করেছে।