রূপসা দাশগুপ্তের নিবেদন ‘সারি শাড়ি গল্প’।
আগের প্রজন্মের কাছে শাড়িই ছিল সেরা। এখনও হয়তো অনেকেই শাড়ি ভালবাসেন। কিন্তু শাড়িতে কতটা স্বচ্ছন্দ এই প্রজন্ম? তাঁরা কাজের দুনিয়ায় শাড়িকে ছাড়পত্র দেন? নাকি, শাড়ি তাঁদের কাছে শুধুই উদযাপনের উপকরণ! শাড়ির সাত-সতেরো নিয়েই স্বাধীনতা দিবসের আগের দিন, শনিবার সঞ্চালিকা রূপসা দাশগুপ্তের নিবেদন ‘সারি শাড়ি গল্প’। সৌজন্যে ‘উপসরুপস’। যে অনুষ্ঠানে শাড়িই শেষ কথা বলবে।
শাড়ি নিয়ে কী কী কথা বলবে এই বিশেষ অনুষ্ঠান? আনন্দবাজার অনলাইনকে রূপসা জানিয়েছেন, পুজো আর শাড়ি বাঙালির কাছে সমার্থক। কিন্তু শাড়ির সাতকাহন নিয়ে আজকের দিনে কে, কতখানি মাথা ঘামান? অনেকেই জানেন না, বারাণসীতে শুধুই বেনারসি শাড়ি পাওয়া যায় না। আরও নানা ধরনের শাড়িও মেলে। তেমনি শাড়ি শুধুই যে নারীদের পছন্দ এমনও নয়। অনেক পুরুষ তাঁর প্রিয় নারীর জন্য নিজে পছন্দ করে শাড়ি কেনেন। অনেক বড় বড় শাড়ির দোকানের কর্ণধার বা বিক্রেতা পুরুষ।
বিশেষ পোশাক নিয়ে গান-গল্পে রূপসার সঙ্গী ছিলেন কণ্ঠশিল্পী উজ্জয়িনী মুখোপাধ্যায়, চিকিৎসক অঞ্জুলা বন্দ্যোপাধ্যায়, অধ্যাপক মহুয়া ঘোষ, কর্ণধার তারক সাহা এবং ২২ বছরের পুরনো শাড়ির প্রতিষ্ঠান বস্ত্র কুট্টিম। যে বিপনির বিশেষত্ব বেনারসী, গাদোয়াল, ঢাকার আসল শাড়ি ক্রেতাদের হাতে তুলে দেওয়া। কথাপ্রসঙ্গে অঞ্জুলা জানিয়েছেন, তিনি আজও কাজের দুনিয়ায় শাড়িই পরেন। শাড়ি তাঁর কাছে শুধুই ১২ হাত বস্ত্রখণ্ড নয়। তাঁর অনুভূতির সঙ্গে জড়িয়ে আছে এই বিশেষ সজ্জা। অন্য দিকে, উজ্জয়িনী শাড়ি তুলে রাখেন বিশেষ দিন উদযাপনের জন্য। তাই আড্ডায় তিনি সেজেছিলেন সালোয়ারে।
রূপসার এই বিশেষ আড্ডা চলবে পুজোর আগে পর্যন্ত। নানা প্রদেশের রকমারি শাড়ির হদিশ যেমন এখানে থাকবে তেমনি থাকবে শাড়ি নিয়ে স্মৃতিরোমন্থন।