ঋষির পরকীয়ার বিষয়টি সম্পর্কে নীতু কিন্তু যথেষ্ট ওয়াকিবহাল ছিলেন। এমনকি, সংবাদমাধ্যমে ফলাও করে সে কথা বলেছিলেন ঋষির ঘরনি। — ফাইল চিত্র।
মায়ানগরীতে ‘আদর্শ’ দম্পতির প্রসঙ্গে উঠলেই চলে আসে ঋষি কপূর এবং নীতু কপূরের নাম। বরাবরই তাঁরা একে অপরের বন্ধুত্বের কথা উল্লেখ করেছেন। তবুও তারকা মানেই তাঁর প্রেমজীবন থাকে চর্চায়। কেরিয়ারের মধ্যগগনে ঋষিও তার ব্যতিক্রম ছিলেন না। এমনকি, বিয়ের পরেও নাকি অভিনেতা মাঝেমধ্যেই অন্য নারীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন।
স্বামীর এই পরকীয়ার বিষয়টি সম্পর্কে নীতু কিন্তু যথেষ্ট ওয়াকিবহাল ছিলেন। এমনকি, সংবাদমাধ্যমে ফলাও করে সে কথা বলেছিলেন ঋষির ঘরনি। এক সাক্ষাৎকারে নীতু বলেন, ‘‘আমি ওঁকে কয়েকশো বার ফ্লার্ট করতে ধরেছি। আউটডোরে ওঁর প্রেমের গল্প সবার আগে আমিই জানতে পারতাম।’’ কিন্তু সেই সব সম্পর্কের স্থায়িত্ব যে মেরেকেটে এক দিন, সে কথাও একটি সাক্ষাৎকারে স্বীকার করে নিয়েছিলেন নীতু।
কিন্তু অন্য নারীর সঙ্গে ঋষিকে দেখে কোনও অশান্তি হত না? এই প্রসঙ্গে নীতু বলেছিলেন, ‘‘প্রথমে তো ওঁর সঙ্গে প্রচণ্ড ঝগড়া করতাম। কিন্তু এখন আমি উদাসীন হওয়া শিখে নিয়েছি। হয়তো সময়ের সঙ্গে পরিণত মানসিকতার জন্যই আমি এটা করতে পেরেছি।’’ এই প্রসঙ্গেই নীতু জানিয়েছিলেন যে, আউটডোরের খবরাখবর তিনি কী ভাবে পেতেন, তা নিয়ে একটু অবাক হতেন ঋষি। নীতুর কথায়, ‘‘আমার বন্ধুবান্ধবের সংখ্যা বেশি। তাঁরা আমাকে ওঁর খবর দিতেন।’’ এই প্রসঙ্গেই নীতি বলেছেন, ‘‘আমি শুধু ওঁকে বলতাম যে, আমি সব জানি। তাই মাথা না ঘামিয়ে ভুলে যাওয়াই ভাল।’’
তবে ঋষি এবং নীতু যে একে অপরকে যথেষ্ট বিশ্বাস করতেন, সে কথাও জোর গলায় স্বীকার করেছেন অভিনেত্রী। কারণ, স্বামীর পরকীয়া তো যে কোনও স্ত্রীর কাছেই চক্ষুশূল! নীতু বলেন, ‘‘আমি জানি, ওঁর কাছে পরিবারই সবার আগে। উনি আমার উপর এতটাই নির্ভরশীল যে, কোনও দিন আমাকে ছেড়ে যেতে পারবেন না।’’
প্রেম বা পরকীয়া প্রসঙ্গে পুরুষকে খানিকটা স্বাধীনতা দেওয়ায় সমর্থন জানান নীতু। তাঁর কথায়, ‘‘একটু ফ্লার্ট চলতেই পারে।’’ এরই সঙ্গে নীতু বলেন, ‘‘কিন্তু যদি কখনও দেখি খুব সিরিয়াস সম্পর্কে জাড়িয়ে পড়েছেন, তা হলে আমি ওঁকে বাড়ি থেকে বার করে দেব এবং সেই মহিলার সঙ্গে থাকতে বলব।’’