RD Burman

‘দম মারো দম’ চলবে না, বলেছিলেন দেব আনন্দ

সুরের জাদুকর রাহুল দেব বর্মনের ৭৯তম জন্মদিন। দেখে নিন পঞ্চমের বাছাই দশ।

Advertisement
নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ২৭ জুন ২০১৮ ১৮:৫৮
Share:
০১ ১১

সুরের জাদুকর রাহুল দেব বর্মনের ৭৯তম জন্মদিন। সুখ, দুঃখ, বিরহ, প্রেম-সবকিছুই ধরা দিয়েছে পঞ্চমের সুরে। বলিউড সিনেমার গানে ‘মেলোডি’-র যে ধারা তিনি শুরু করেছিলেন, তা অব্যাহত। এর মধ্যেই বেছে নেওয়া হল পঞ্চমের তৈরি ১০টি গান।

০২ ১১

তেরে বিনা জিন্দেগি সে: ১৯৭৫ সালে আঁধি ছবির জন্য এই গানে সুর দেন পঞ্চম। ছবিতে ছিলেন সুচিত্রা সেন ও সঞ্জীব কুমার।পরিচালক ও গীতিকার গুলজারের এত পছন্দ হয়ে যায় ‘তেরে বিনা জিন্দেগি সে’ গানের সুর, বাংলাতেও তাল মিলিয়ে লিখে ফেলেন ‘যেতে যেতে পথে হল দেরি’। ইন্দিরা গাঁধী সরকার ছবিটিতে নিষেধাজ্ঞা জারিও করেছিল।

Advertisement
০৩ ১১

রিমঝিম গিরে সাওন: অমিতাভ বচ্চন ও মৌসুমী চট্টোপাধ্যায়ের উপর দৃশ্যায়িত এই গান। গেয়েছেন কিশোর কুমার, গেয়েছেন লতা মঙ্গেশকরও। ছবির নাম মঞ্জিল। পরিচালক বাসু চট্টোপাধ্যায়। মৃণাল সেনের আকাশকুসুম ছবিটির সঙ্গে এটির মিল রয়েছে। ছবিটি সমালোচকদের যথেষ্ট প্রশংসা কুড়িয়েছিল। তৎকালীন বম্বেতেই শুটিং হয়েছিল গানটির।

০৪ ১১

ওহ হনসিনি: মজরু সুলতানপুরির কথায় এই গানে সুর দেন রাহুল। পরিচালক পুত্তানা কানাগাল। কর্নাটকের চিত্রদুর্গ কেল্লায় ‘জেহরিলা ইনসান’ ছবির এই গানটি দৃ্শ্যায়িত। ছবিতে ছিলেন ঋষি কপূর, নীতু সিং ও মৌসুমী চট্টোপাধ্যায়। ১৯৭৪ সালে ছবি মুক্তির পর যেমন কিশোর কুমারের কণ্ঠে এই গানটি জনপ্রিয় হয়েছিল, আজও এই গানটি সমানভাবে জনপ্রিয়।

০৫ ১১

ইয়ে জো মহব্বত হ্যায়: ‘কাটি পতঙ্গ’ ছবিতে এই গানের জন্যে ফিল্ম ফেয়ার অ্যাওয়ার্ডের অনুষ্ঠানে সেরা গায়কের সম্মান পান কিশোর কুমার। রাজেশ খন্না ও আশা পারেখ অভিনীত এই ছবির পরিচালক ছিলেন শক্তি সামন্ত। আনন্দ বক্সীর লেখা এই গানটি ছাড়াও ছবির ‘ইয়ে শাম মস্তানি’ গানটিও অসম্ভব জনপ্রিয় হয়েছিল।

০৬ ১১

গুম হ্যায় কিসি কে পেয়ার মে: মনমোহন দেশাইয়ের ‘রামপুর কা লক্ষ্মণ’ ছবিতে ছিলেন রণধীর কপূর, শত্রুঘ্ন সিংহ ও রেখা। ১৯৭২ সালে মজরু সুলতানপুরির গানে ফের চমক দিলেন আর ডি। লতা মঙ্গেশকর ও কিশোর কুমারের কণ্ঠে ফের মুগ্ধ হলেন শ্রোতারা।

০৭ ১১

চিঙ্গারি কোয়ি ভরকে: আনন্দ বক্সীর কথায় অমর প্রেম ছবির জন্য ১৯৭২ সালে এই গানে সুর দিলেন আর ডি। গাইলেন কিশোর কুমার। শক্তি সামন্তের এই ছবিতে ছিলেন রাজেশ খন্না ও শর্মিলা ঠাকুর। ছবিতে ‘ইয়ে কেয়া হুয়া’, ‘কুছ তো লোগ কহেঙ্গে’ কিংবা ‘রয়না বিত যায়’ গানগুলিও কম জনপ্রিয় হয়নি।

০৮ ১১

পিয়া তু আব তো আজা: ১৯৭১ সালে নাসের হুসেনের ছবি ‘ক্যারাভান’-এর গান গাইলেন আশা ভোঁসলে। পেলেন ফিল্ম ফেয়ারে সেরা গায়িকার সম্মান। অভিনেত্রী হেলেনের উপর দৃশ্যায়িত এটি। আর ডির প্রথম ফিল্পফেয়ার এটি। গানের ‘মনিকা ও মাই ডার্লিং’ লাইনটি হয়ে উঠল ‘কাল্ট’। জিতেন্দ্র-আশা পারেখ অভিনীত ছবিতে ‘ক্যাবারে সং’-এ মুগ্ধ হন শ্রোতারা।

০৯ ১১

আজা আজা ম্যায় হু পেয়ার তেরা: মহম্মদ রফি ও আশা ভোঁসলে জুটির গানটি বিজয় আনন্দ পরিচালিত ‘তিসরি মঞ্জিল’ ছবির। ছবিটি মুক্তি পায় ১৯৬৬ সালে। শাম্মি কপূর ও আশা পারেখের উপর দৃশ্যায়িত এই গানটি। হেরমান বেঞ্জামিন এই গানটি কোরিওগ্রাফি করেন। শাম্মি কপূরের সেই মাথা নাড়ানো কি ভোলা সম্ভব?

১০ ১১

চুরা লিয়া হ্যায় তুমনে: গ্লাসের উপর চামচের টুংটাংকেই গানের মধ্যে ব্যবহার করলেন পঞ্চম। প্রথম এক্সপেরিমেন্টই বলা যায়। ‘ইয়াদো কি বারাত’ ছবিতে মজরু সুলতানপুরির গানে মজলেন শ্রোতারা। মহম্মদ রফি ও আশা ভোঁসলের কণ্ঠে এই গান হল অসম্ভব জনপ্রিয়। ধর্মেন্দ্র, জিনাত আমন, নীতু সিং ছাড়াও এক খুদের চরিত্রে এই ছবিতে ছিলেন আমির খানও।

১১ ১১

দম মারো দম: লতা মঙ্গেশকর গাওয়ার কথা থাকলেও গাইলেন আশা। আশার সঙ্গে গলা মেলালেন ঊষা আয়ারও।প্রথমে নাকি গানটি পছন্দই হয়নি অভিনেতা দেব আনন্দের।‘হরে কৃষ্ণ হরে রাম’ ছবিতে জিনাত আমনের উপর দৃশ্যায়িত এই ছবিটি ছিল একেবারেই হিপি কালচার নিয়ে। গানটিতে গিটার বাজিয়েছিলেন গজল সম্রাট ভুপিন্দর সিংহ নিজেই। এই গানও পেল ফিল্ম ফেয়ার।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on:
আরও গ্যালারি
Advertisement