‘বর্ষায় আমি বেশ রোম্যান্টিক হয়ে যাই!’

আনন্দ প্লাসের দফতরে ‘ধড়ক’ জুটি। কেমন জমল অফ স্ক্রিন কেমিস্ট্রি?দু’জনের পর্দার বাইরের তালমিল এন্টারটেনিং হলেও পর্দায় জুটিটা কেমন? জাহ্নবীর জবাব, ‘‘আপনারাই বলুন প্লিজ়। আমরা তো এখনও ছবিটা দেখিইনি!’’

Advertisement
শেষ আপডেট: ১৪ জুলাই ২০১৮ ০০:১০
Share:

আনন্দ প্লাসের দফতরে জাহ্নবী এবং ঈশান

এক জন গ্ল্যামার সম্রাজ্ঞী শ্রীদেবীর কন্যা। আর এক জন ইরানি মায়েস্ত্রো মাজিদ মাজিদির নায়ক। এই দু’জন যখন একসঙ্গে পর্দায় আসেন, কেমিস্ট্রি তুঙ্গে পৌঁছনোরই কথা। চলতি বছরের সবচেয়ে প্রতীক্ষিত জুটির যেমনটা হওয়া উচিত।

Advertisement

কিন্তু পর্দার বাইরেও কি দু’জনের ততটাই ভারিক্কি উপস্থিতি? শ্রীদেবী তনয়া জাহ্নবী আর শাহিদ কপূরের ভাই ঈশানকে আনন্দবাজার পত্রিকার দফতরে পাশাপাশি বসে খুনসুটি করতে দেখলে কিন্তু মনে হবে না, এই দু’জনের দিকেই তাকিয়ে বসে আছেন সকলে! গোটা ভারত জুড়ে প্রচার শুরু করেছেন নবাগত দুই হিরো-হিরোইন। কিন্তু দুর্ভাগ্য, কলকাতা সফরে এসেই ফুড পয়েজ়নিং হয়ে যায় ঈশানের। শেষে দফতরেই ডাক্তারকে তলব করা হয়। তাই দু’জনের জন্য আনা গলৌটি কাবাব, পনির গুলনার, ফিশ আনারি টিক্কা, ফিরনির কিছুই খেতে পারলেন না ঈশান। তাঁর সামনে জাহ্নবী একাই বা খান কী করে? কিন্তু অসুস্থতায় নাজেহাল হলেও জাহ্নবীর সঙ্গে দুষ্টুমিতে ক্ষান্ত দেননি ঈশান। সাক্ষাৎকার দিতে দিতেই তিনি খেলছেন জাহ্নবীর খোলা চুল নিয়ে। বলেও দিলেন, ‘‘জাহ্নবীর যে জিনিসটা আমার সবচেয়ে ভাল লাগে, সেটা হল ওর চুল!’’ জাহ্নবীও এই কথার পৃষ্ঠে বললেন, ‘‘গোটা প্রোমোশনে ও আমার চুল ধরে টানাটানি করেছে। হেয়ার স্টাইলিস্টকে প্রতি বার আমার চুলটা ঠিক করে দিতে হয়। তার পরে ও আবার চুল ঘেঁটে দেয়!’’ কথোপকথনের মধ্যেই জাহ্নবী হাত বাড়িয়ে ঈশানের জ্যাকেটটা ঠিক করে দিলেন। দু’জনেই বললেন, তাঁদের আলাপ এই ছবি করার সুবাদেই। অথচ অফ স্ক্রিন কেমিস্ট্রি দেখে মনে হবে, ক’দিনের আলাপেই বেশ ঘনিষ্ঠ হয়ে গিয়েছেন তাঁরা!

কলকাতায় বর্ষার মরসুম। জাহ্নবী জানালেন, বৃষ্টি তাঁর বড্ড ভাল লাগে। ‘‘মায়ের অনেক গান আছে বর্ষার দৃশ্যে শুট করা। তার মধ্যে ‘মিস্টার ইন্ডিয়া’র ওই ‘কাটে নেহি কাটতে’ বলে গানটা আমার সবচেয়ে প্রিয়,’’ কথায় কথায় জানালেন তিনি। বৃষ্টি পড়লে কবিতা লিখতে ইচ্ছে করে জাহ্নবীর, ‘‘বর্ষায় আমি বেশ রোম্যান্টিক হয়ে যাই!’’ ঈশান আবার পুরোটাই ইয়ার্কির মেজাজে! বললেন, ‘‘ওকে এক বার গানটা গেয়ে শোনাতে বলুন। আপনারা অফিস ছেড়ে পালাবেন!’’ এত ইয়ার্কি করেন আপনাকে নিয়ে, ঈশানের উপর বিরক্ত হন না? জাহ্নবীকে প্রশ্নটা করায় উত্তর এল, ‘‘ইয়ার্কিতে বিরক্ত হই না। কিন্তু একসঙ্গে ছবি তুলতে গেলে ও সব সময়ে আমার কোমরে চিমটি কাটতে থাকে! দ্যাটস দ্য মোস্ট অ্যানয়িং থিং অ্যাবাউট হিম।’’ ঈশানকে কারণ জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি কিন্তু খোলামেলা বলেই দিলেন, ‘‘ইন্টারেস্টিং ছবি ওঠে যাতে!’’

Advertisement

আরও পড়ুন: ‘সুপারস্টারদের বিপরীতে আমাকে কাস্ট করা হয় না’

খুনসুটির মেজাজে জাহ্নবী কপূর ও ঈশান খট্টর।

দু’জনের পর্দার বাইরের তালমিল এন্টারটেনিং হলেও পর্দায় জুটিটা কেমন? জাহ্নবীর জবাব, ‘‘আপনারাই বলুন প্লিজ়। আমরা তো এখনও ছবিটা দেখিইনি!’’ নিজেদের সম্পর্কে না বলতে পারলে বরং পর্দার অন্য জুটিদের সম্পর্কেই বলুন, যাঁদের ভাল লাগে? একযোগে উত্তর, ‘‘গুরু দত্ত-ওয়াহিদা রহমান আর কেট উইন্সলেট-লিওনার্দো ডিক্যাপ্রিও।’’ এখন জাহ্নবী-ঈশানের ফ্রেশ জুটি দর্শকের মনে কতটা ছাপ ফেলতে পারে, সেই অপেক্ষাতেই সবাই।

ছবি: সুদীপ্ত ভৌমিক, শুভদীপ ধর

ফুড পার্টনার: নৌশিজান

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement