(বাঁ দিকে) নিতিন দেশাই। (ডান দিকে) শিল্পীর মেয়ে মানসী। ছবি: সংগৃহীত।
২ অগস্ট আচমকাই মৃত্যুর খবর মেলে বলিউডের নামজাদা শিল্প নির্দেশক নিতিন দেশাইয়ের। নিজের তৈরি করা এনডি স্টুডিয়ো থেকে উদ্ধার করা হয় জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত শিল্পীর ঝুলন্ত দেহ। প্রাথমিক ভাবে অনুমান করা হয়, আত্মহত্যার কারণে মৃত্যু হয়েছে অভিনেতার। তবে যে তথ্য প্রকাশ্যে এসেছে তাতে জানা গিয়েছে, শিল্প নির্দেশকের মাথার উপর ছিল প্রায় ২৫২ কোটি টাকার ঋণের বোঝা। এমনকি, ধার শোধ করতে নিজের তৈরি এনডি স্টুডিয়ো বন্ধকও রাখতে হয়েছিল তাঁকে। আর্থিক অনটনের সঙ্গে আর যুঝতে না পেরেই নাকি আত্মহননের পথ বেছে নেন নিতিন। ধার শোধ করার জন্য ঋণদাতা সংস্থার তরফে চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছিল নিতিনের উপরে। ইতিমধ্যেই সেই ঋণদাতা সংস্থার আধিকারিক-সহ মোট পাঁচ জনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছেন শিল্পীর স্ত্রী। এ বার মুখ খুললেন শিল্পীর মেয়ে মানসী। তিনি জানান, কারও টাকা মারার কোনও উদ্দেশ্য তাঁর বাবার ছিল না। যে সব তথ্য উঠে আসছে, তার অধিকাংশই মিথ্যা।
এক সাক্ষাৎকারে মানসী তাঁর বাবার অর্থিক সঙ্কটের দিকটি তুলে ধরেন। শিল্পীর মেয়ে বলেন, ‘‘কারও সঙ্গে প্রতারণা করার কোনও উদ্দেশ্য আমার বাবার ছিল না। করোনা অতিমারির কারণে কোনও কাজ ছিল না এবং স্টুডিয়োও বন্ধ ছিল। এর কারণেই তিনি আর নিয়মিত অর্থপ্রদানে সক্ষম হননি।’’ তিনি জানান, তাঁর বাবা যে ঋণ নিয়েছিলেন, তার পরিমাণ ছিল ১৮১ কোটি। যার মধ্যে প্রায় ৮৬.৩১ কোটি টাকার ঋণ তিনি পরিশোধ করেছেন। মানসী জানান, ২০২০ সালে ঋণের টাকা দেওয়ার পরও প্রায় ছ'মাসের সুদ দিতে হয়, যা শিল্পী তাঁর পওয়াইয়ের অফিস বিক্রি করে শোধ করেন। তিনি তাঁর দেওয়া প্রতিশ্রুতি মতো অর্থ প্রদান করেছেন।
তাই তাঁর প্রয়াত বাবাকে নিয়ে ভুল তথ্য ছড়ানো থেকে বিরত থাকার অনুরোধ জানিয়েছেন মানসী। পাশপাশি, তিনি মহারাষ্ট্র সরকারকে অনুরোধ করেন এনডি স্টুডিওর দায়িত্ব নেওয়ার জন্য। তাঁর কথায়, ‘‘আমি মহারাষ্ট্র সরকারের কাছে বিষয়টির দিকে নজর দেওয়া এবং তার শেষ ইচ্ছা অনুযায়ী এনডি স্টুডিওর দায়িত্ব নেওয়ার অনুরোধও জানাচ্ছি। অনুগ্রহ করে তাঁকে সুবিচার দিন।’’