পরিস্থিতি সামাল দিতে শ্যামা পায়েস তৈরি করে।
কিছুতেই ঠাকুরের ভোগ মোতিচুরের পায়েস রেঁধে উঠতে পারছে না বড় বৌ। তিনি যত্ন নিয়ে রাঁধার চেষ্টা করলেও, তা পুরোটাই ঘেঁটে ‘ঘ’। দুধে দিতেই কেমন ছেড়ে যাচ্ছে মোতিচুরের লাড্ডুগুলো। সব দেখে কপাল চাপড়াচ্ছেন নিখিলের মা সুজাতা। তাঁর আক্ষেপ, ‘আজ শ্যামা থাকলে এক্ষুণি বানিয়ে দিত মোতিচুরের পায়েস।’
রান্নঘরের এক পাশে চুপ করে দাঁড়িয়ে দেখছিল শ্যামা আর তার মেয়ে কৃষ্ণা। পরিস্থিতি সামাল দিতে কৃষ্ণা শেষে জানায়, তার মাও খুব ভাল মোতিচুরের পায়েস বানাতে জানে।
এর পরেই ঘোমটা টেনে হাতা-খুন্তি-কড়াই নিয়ে রান্নায় ব্যস্ত হয়ে পড়ে শ্যামা। দেখতে দেখতে তার হাতেই তৈরি হয় ঘন মোতিচুরের পায়েস। ১৮ বছর পরেও নিখুঁত ভোগ রান্না করল সে পাকা রাঁধুনির মতো। কিসমিস, কাজু, এলাচ, তেজপাতা দিয়েছে। ঘি ছড়িয়েছে। পাক দিতে দিতে পায়েস ঘন হলে তাতে দিয়েছে মোতিচুরের লাড্ডু। একটাও কিন্তু ভাঙেনি।
আরও পড়ুন: অনন্তকাল তোমাকেই মা হিসেবে চাই, মায়ের প্রয়াণে আবেগঘন টুইট বাবুলের
তবে কি স্মৃতি ফিরে আসছে শ্যামার?
অবাক হয়েছেন শ্যামার শাশুড়িও। প্রশ্নও করেছেন, ‘তুমি কী করে জানলে? এই রকম মোতিচুরের পায়েস বানাতে? এ তো শুধু আমার শ্যামা জানত!’ নিজেকে ঢাকতে সঙ্গে সঙ্গে আরও বড় ঘোমটা টেনে রান্নাঘর থেকে সরে গিয়েছে শ্যামা। কৃষ্ণার মুখে তখন তৃপ্তির হাসি। তার মায়ের আস্তে আস্তে মনে পড়ছে বোধহয় পূর্বস্মৃতি।
রান্নাঘর থেকে বেরিয়েই শ্যামা মুখোমুখি নিখিলের। ঘোমটার ফাঁক দিয়েই শ্যামার মুখের সামান্য অংশ দেখতে পেয়েছে সে। এবং চমকেও উঠেছে। এ কে?
তাহলে কি মেয়েই মিলন ঘটাবে মা-বাবার?