দেশের মাটি।
সাল ২০১৮। কাঁটাতারের বেড়া, দেশভাগের স্মৃতি, শিকড় উপড়ে চলে আসার যন্ত্রণা, ফেলে আসা ভিটেমাটির গন্ধে ’ম ’ম বড় পর্দা। ‘মাটি’ ছবির দৌলতে। এই ছবিতে প্রথম নব্য তারকাজুটি পাওলি দাম, আদিল হোসেন। এই ছবি দিয়েই বড় পর্দায় প্রথম অভিযান প্রযোজনা সংস্থা ম্যাজিক মোমেন্টস-এর।
সাল ২০২০। সবচেয়ে ঘটনাবহুল বছরে স্টার জলসায় পরিচালক জুটি লীনা গঙ্গোপাধ্যায় ও শৈবাল বন্দ্যোপাধ্যায় এবং ওই প্রযোজনা সংস্থার ‘ব্যাক টু ব্যাক’ দুটো বড় মাপের কাজ, ‘রবির নতুন বউঠান’ এবং ‘দেশের মাটি।’ দ্বিতীয় ধারাবাহিকের প্রোমো মুক্তি পেয়েছে শুক্রবার, চ্যানেলের সামাজিক পাতায়। যার ট্যাগলাইন, ‘সব মানুষেরই একটা নিজের মাটি লাগে।’
এ বার কোন মাটির গন্ধ চেনাবে লীনা-শৈবালের ‘দেশের মাটি’? প্রোমো বলছে, শুধু দেশছাড়া হলেই মানুষের জন্মশিকড় কাটা পড়ে এমনটা নয়। সাত পুরুষের ভিটেমাটি ছেড়ে ঠাঁইনাড়া হলেও টান ধরে মানুষের অস্তিত্বে।
আরও পড়ুন: যোধপুর পার্কের ফ্ল্যাটে অভিনেত্রীর রহস্যমৃত্যু
সেই উপলব্ধি স্বরূপনগরের বনেদিবাড়ির গিন্নির অসহায় প্রশ্নে, ‘‘এই বয়সে শেকড় ছেড়ে কোথায় যাব রে?’’
প্রোমো অনুযায়ী, বনেদিবাড়ির এই প্রজন্ম বিক্রি করে দিতে চায় তাদের দেশের বাড়ি। দশমীর দিন সে কথা বাড়ির কর্তার কাছে পেশ হতেই হাহাকার, দীর্ঘশ্বাস, অজস্র প্রশ্ন ধাক্কা খেয়ে ফেরে বহু কালের চেনা দোরদালানে। পড়শির আক্ষেপ, ‘‘তোমরা চলে গেলে তো পুরো স্বরূপনগরটাই ফাঁকা হয়ে যাবে!’’
খুব চেনা এই সমস্যার শেষ কোথায়? চ্যানেলে ধারাবাহিকের প্রোমো সম্প্রচারিত হয়নি এখনও। তাই প্রশ্নটি আপাতত জিইয়ে রাখলেন লীনা-শৈবাল। তবে তাঁদের প্রতিটি ধারাবাহিক যেমন তারকাখচিত, ‘দেশের মাটি’-ও তার ব্যতিক্রম নয়। বনেদি পরিবারের কর্তা এবং গিন্নির ভূমিকায় যথাক্রমে অশোক ভট্টাচার্য ও অনসূয়া মজুমদার। তাঁদের ঘিরে ভরত কল, তথাগত মুখোপাধ্যায়, ঋতা দত্ত চক্রবর্তী, দিব্যজ্যোতি দত্ত, রুকমা রায়, রাহুল অরুণোদয় বন্দ্যোপাধ্যায়, শ্রুতি দাস প্রমুখ।
‘আয় খুকু আয়’-এর পর ছোট পর্দা থেকে সাময়িক বিরতি নিয়েছিলেন রাহুল। ব্যস্ত হয়ে পড়েছিলেন বড় পর্দা নিয়ে। ম্যাজিক মোমেন্টস-এর এই ধারাবাহিক দিয়ে আবার ফিরছেন তিনি। অন্য দিকে, জি বাংলার ‘ত্রিনয়নী’র পর ‘নয়ন’ শ্রুতি দাসের এটি দ্বিতীয় ধারাবাহিক।