পোস্ত
ইউটিউব, নেটফ্লিক্সের জন্মভূমিতে বাংলা ছবি দেখতে কি ভিড় হবে হলে? সেই প্রশ্নের উত্তর দিয়েছে সাগরপারের বাঙালিরা। বাংলা ছবির ভরসাতেই তাঁরা ফিল্ম ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি খুলেছেন। বছর দুয়েকের মধ্যেই এটি ব্যবসার জোরালো মাধ্যম।
লস অ্যাঞ্জেলেসের ২২ বছরের বাসিন্দা বাবলি চক্রবর্তী ‘প্রাক্তন’ দিয়ে প্রথম ঝুঁকি নিয়েছিলেন। তিনি জানালেন, ‘ডবল ফেলুদা’, ‘মাছের ঝোল’, ‘মেঘনাদবধ রহস্য’ দেখতে প্রবাসীদের লাইন পড়ে গিয়েছে। সাধারণত মাসে এক দিন সপ্তাহান্তে বাংলা ছবি দেখানো হয়। এখন দর্শকের চাহিদায় একই ছবি মাসে দু’দিন করেও চালাতে হয়েছে।
মেঘনাদবধ রহস্য
মাসে একদিন সিনেমা দেখিয়ে কতটা লাভ থাকে? বাবলির কথায়, ‘‘আমরা কিন্তু লাভ রাখছি। ‘পোস্ত’ দেখতে এসে লোকে ফিরে গিয়েছে।’’ সানফ্রান্সিসকো বে এরিয়ার সায়ন্তী ভট্টাচার্য পেশায় মলিকিউলর বায়োলজিস্ট। তিনিও এখন এই ব্যবসায়। জানালেন, হলে এসে টিকিট কেটে বাংলা ছবি দেখার আগ্রহ বাড়ছে প্রবাসীদের।
সায়ন্তী বলছিলেন, ‘‘প্রথম থেকেই যে লোকজনের মধ্যে দারুণ আগ্রহ ছিল, তেমন নয়। আমরা ঝুঁকি নিয়েই শুরু করেছিলাম। মার্কেটিং করতে হল। থিয়েটারে বসে ছবি দেখা, বাঙালিরা মিলে আড্ডা দেওয়া, সব মিলিয়ে একটা উৎসবের আয়োজন করা হল। তার পর ধীরে ধীরে আগ্রহ বাড়ল।’’ সানফ্রান্সিসকো বে এরিয়া, নিউ জার্সি, কানাডার নানা জায়গায় ছবি দেখিয়েছেন সায়ন্তী। ‘‘দেশে কোন ছবি ভাল চলছে সেই ফিডব্যাক নিই। সব কিছু বিচার করেই ছবি নিয়ে আসা হয়,’’ বললেন বাবলি। আগ্রহ এখন এতটাই বেশি যে, দেশে রিলিজের আগে তরুণ মজুমদারের ‘ভালবাসার বাড়ি’র প্রিমিয়ার হয়েছে নিউ ইয়র্কে। এবং শো অবশ্যই হাউসফুল।