বিশ্ব নাট্যদিবসে রবীন্দ্র-শিক্ষা আদর্শকে স্মরণ করে এক অভিনব নাট্য প্রযোজনা হল শান্তিনিকেতনে। শুক্রবার সন্ধ্যায় শান্তিনিকেতনের রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের পাশে ‘চর্যাশ্রম’ শীর্ষক নাটকটি নিবেদন করল ‘নির্মাণ’ গোষ্ঠী। আয়োজক সংস্থার পক্ষে সলিল সরকার বলেন, “এটি উপস্থাপন করার সময় সমস্ত অভিনেতা-অভিনেত্রীরা একটি নির্দিষ্ট জায়গায় একই সময়ে উপস্থিত থাকেন। কারও প্রবেশ বা প্রস্থান ঘটে না। এতে আলো, ধ্বনি, পোশাক সমস্ত কিছু নাটকের মত ব্যবহার করা হয় ঠিকই, কিন্তু অন্যান্য নাটকের সঙ্গে তফাৎ হল, ‘অভিনয় চলাকালীন দর্শকদের সঙ্গে শিল্পীদের অন্তরঙ্গ সম্পর্ক স্থাপন করা। সেজন্য একে ‘ইন্টিমেট স্পেস থিয়েটার’ বা অন্তরঙ্গ নাট্যকলাও বলা হয়।” এর আগে, ‘নির্মাণ’ গোষ্ঠী এই ধরনের নাটক নিয়ে বহু পরীক্ষানিরীক্ষা করেছে শান্তিনিকেতনে এবং কলকাতায়। নাটকটি নিয়ে সংস্থার দাবি,“চর্যাশ্রম হচ্ছে, মুক্ত প্রকৃতির মধ্যে শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে। শিক্ষা ব্যবস্থায় যখন নাগরিক এবং যান্ত্রিক ব্যবস্থাকে আরোপ করা হয়, তখন স্বতঃস্ফূর্ততা হারিয়ে যায়।” নাটকের উপকরণ হিসেবে যেমন দড়ি, মোমবাতি ব্যবহার করা হয়েছে, পাশাপাশি সেতার, ঘুঙুরের মতো বাদ্যযন্ত্রও প্রয়োগ করেছেন পরিচালক। সংলাপের সঙ্গে গানও রয়েছে।
অন্য দিকে এ দিনই শেষ হল কলকাতার অলটারনেটিভ লিভিং থিয়েটারের উদ্যোগে, বিশ্ব নাট্য দিবস উপলক্ষে চলা তিন দিনের নাট্যমেলার। ভারত সরকারের সংস্কৃতি মন্ত্রকের আর্থিক সহযোগিতায় পূর্বাঞ্চল সংস্কৃতি কেন্দ্র, শান্তিনিকেতন নাট্যকেন্দ্র, ইলোরা, বোলপুর গণনাট্য উত্তরণ, আমরা সবুজ ও বোলপুর নৃত্যনিকেতন ডান্স গ্রুপ অ্যান্ড স্কুলের মতো আঞ্চলিক নাট্যসংস্থা গুলির যৌথ উদ্যোগে শ্রীনিকেতনের সৃজনী শিল্পগ্রামে হয়ে গেল অনুষ্ঠানগুলি। শেষ দিন ছিল, আয়োজক সংস্থা অলটারনেটিভ লিভিং থিয়েটারের প্রবীর গুহের প্রযোজনায়, নাটক ‘বিষাদকাল’।