ওটিটির লড়াইয়ে পিছিয়ে পড়ছে নেটফ্লিক্স?
বেশ কিছু দিন ধরেই চড়ছিল উদ্বেগের পারদ। আতঙ্কে কাঁটা হয়ে ছিলেন কর্মীরা। আশঙ্কাই সত্যি হল শেষমেশ। গোটা বিশ্বে মোট ১৫০ জন কর্মীকে ছাঁটাই করল ওটিটি প্ল্যাটফর্ম নেটফ্লিক্স।
সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে, গোটা বিশ্বে এই প্ল্যাটফর্মে কর্মী সংখ্যা ছিল ১১ হাজার। তার মধ্যে চাকরি হারিয়েছেন ২ শতাংশেরও কম। আপাতত তালিকায় ছিলেন মূলত আমেরিকার কর্মীরাই। নেটফ্লিক্সের মুখপাত্রের দাবি, ‘‘সংস্থার উপার্জন বৃদ্ধির গতি কমে যাওয়াতর দরুন ব্যয়েও রাশ টানতে হচ্ছে। সে কারণেই এই পথে হাঁটতে হল কর্তৃপক্ষকে। কারও কর্মদক্ষতার প্রশ্নে নয়, শুধুমাত্র ব্যবসায়িক কারণেই এই সিদ্ধান্ত।’’
এপ্রিলেই নেটফ্লিক্স জানিয়েছিল, এক দশকে এই প্রথম গ্রাহকসংখ্যা কমছে তাদের। অর্থবর্ষের আগামী চার মাসে আরও গ্রাহক কমার আশঙ্কায় ছিল সংস্থা। তার এক মাসের মধ্যেই কর্মী সংকোচনের পথে হাঁটল এই ওটিটি প্ল্যাটফর্ম। ইতিমধ্যেই ছাঁটাই এবং কর্মী নিয়োগ আপাতত বন্ধের পথে হেঁটেছে মেটা, অ্যামাজন, উবারের মতো সংস্থা।
ওটিটির লড়াই যত জমছে, গ্রাহক সংখ্যায় ভাটার টান দেখছে নেটফ্লিক্স। প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে মাসিক গ্রাহকমূল্য আগের তুলনায় বেশ খানিকটা কমিয়ে দিয়েছে সংস্থা। লাভ হয়নি তাতেও। জানুয়ারি থেকে প্রায় ৭০ শতাংশের বেশি পড়ে গিয়েছে নেটফ্লিক্সের শেয়ারের দর।
গ্রাহক টানতে নিজেদের প্ল্যাটফর্মে এই প্রথম বিজ্ঞাপন অন্তর্ভুক্ত করার পথেও হাঁটছে নেটফ্লিক্স। এত কাল কনটেন্টের মাঝে বিজ্ঞাপনের বিরোধী ছিল সংস্থা। এ ছাড়া পাসওয়ার্ড ভাগাভাগি করে নেটফ্লিক্স দেখার প্রবণতাতেও রাশ টানতে চায় সংস্থা। পরিসংখ্যান বলছে, ২২ কোটি ২০ লক্ষের বেশি গ্রাহক রয়েছেন এই প্ল্যাটফর্মে। কিন্তু অন্যের পাসওয়ার্ড দিয়ে নেটফ্লিক্স দেখা হয় আরও অন্তত ১১ কোটি বাড়িতে। তাতেই এ বার লাগাম পরানোর ভাবনা রয়েছে সংস্থার।